AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মন্ত্রিসভায় একগুচ্ছ নতুন মুখ, কাদের জায়গা দিলেন মমতা?

রাজনৈতিক গুরুত্ব বিচার করেই নতুন নেতাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

মন্ত্রিসভায় একগুচ্ছ নতুন মুখ, কাদের জায়গা দিলেন মমতা?
নতুনদের চমক থাকছে বাংলার মন্ত্রিসভায়
| Updated on: May 10, 2021 | 8:31 AM
Share

কলকাতা: মমতার এবারের মন্ত্রিসভায় পুরনোদের পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে্ একাধিক নতুন মুখ। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আনা হয়েছে অখিল গিরিকে। জায়গা দেওয়া হয়েছে প্রথমবার তৃণমূলের প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরকেও। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এবার লড়াই ছিল চ্যালেঞ্জের। আর সেই লড়াইতে যারা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন, তাঁদেরই জায়গা দিয়েছে দল। প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ছাড়া আর কোনও তারকা নেই মন্ত্রীদের তালিকায়।

একনজরে কারা রয়েছেন সেই তালিকায়:

বঙ্কিম হাজরা: সাগরের দু’বারের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বঙ্কিম হাজরা

রথীন ঘোষ: মধ্যমগ্রামের দীর্ঘদিনের বিধায়ক। রাজনৈতিকভাবে তাঁর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিজেপির সেলিব্রিটি প্রার্থী রাজশ্রী রাজবংশীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। লড়াই ছিল আইএসএফের সঙ্গেও। এই আসনে ছিল বিরাট সংখ্যক মুসলিম ভোটার।

পুলক রায়: উলুবেড়িয়া দক্ষিণের প্রার্থী। গত বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন তিনি। বিজেপির তারকা মুখ পাপিয়া অধিকারীর সঙ্গে লড়াইতে জয়ী হয়েছেন তিনি। এবার রাজীবের দলবদলের পর যে ভাবে জায়গা ধরে রেখেছেন, তার জন্যই এই পুরষ্কার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিপ্লব মিত্র: হরিরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। ২০১১ নির্বাচনে জেতার পর গত বিধানসভায় জোটের সিপিএম প্রার্থী রফিকুল ইসলামের কাছে হেরেছিলেন বিপ্লব। এবার ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বিপ্লব মিত্র।

হুমায়ুন কবীর: ভোটের আগেই তৃণমূলে যোগ দেন চন্দননগরের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর। ডেবরা কেন্দ্রে আর এক প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের সঙ্গে ছিল তাঁর লড়াই। কালনায় মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় শাসকদলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন তিনি। মার্চ মাসে অবসরগ্রহণের কথা ছিল হুমায়ুন কবীরের। তবে জানুয়ানির শেষ সপ্তাহেই ইস্তফা দেন।

অখিল গিরি: অধিকারীদের গড়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পূর্ব মেদিনীপুরের দখল রাখাই তাঁর মূল লক্ষ্য। অধিকারীদের আধিপত্য সত্ত্বেও পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের মাটি ধরে রাখার জন্যই সম্ভবত তাঁকে পুরষ্কৃত করলেন মমতা।

রত্না দে নাগ: পাণ্ডুয়ার বিধায়ক। প্রায় বিশ বছর আগে প্রথম বার বিধানসভায় জিতেছিলেন শ্রীরামপুরের ডাকসাইটে সংগঠক, কংগ্রেসের কেষ্ট মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে। ২০০৯ সালে প্রথম বার লোকসভায় যান লকেটের কাছে।পেশায় তিনি চিকিৎসক। সাংসদ তকমার থেকেও চিকিৎসক হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত এলাকায়। আবার এখনও তাঁর পরিচয় শ্রীরামপুরের প্রবাদপ্রতিম কংগ্রেস নেতা গোপালদাস নাগের মেয়ে হিসেবে।

আরও পড়ুন: আজ রাজ্যে শপথ ৪৩ মন্ত্রীর, পূর্ণ ও প্রতিমন্ত্রীর তালিকায় কারা, একনজরে

বীরবাহা হাঁসদা: সাঁওতালি সিনেমার তারকা তথা তৃণমূল প্রার্থী। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ঝাড়খণ্ড পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন বীরবাহা। ভোটের আগে যোগ দেন তৃণমূলে।

জ্যোৎস্না মাণ্ডি: জেলার একমাত্র প্রার্থী যিনি দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বাঁকুড়ার তরুণ মুখ জ্যোৎস্না মাণ্ডির সম্পত্তি নিয়ে বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়। সব ঝড় সামলে ফের জয়ী হন তিনি।

মনোজ তিওয়ারি: বাংলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। মনে করা হচ্ছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লার জায়গা নিতে পারেন তিনি। ক্রীড়া দফতরে বিশেষ দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা।

শিউলি সাহা: দীর্ঘদিনের লড়াকু নেত্রী। কেশপুরের ২০১৬ তেও জয়ী হয়েছিলেন শিউলি।

এছাড়াও রয়েছেন, বুলুচিকি বরাইক, দিলীপ মণ্ডল, আক্রুজ্জমান, শ্রীকান্ত মাহাত, পরেশ অধিকারী।