‘এটাও এক ধরনের প্রচার,’ মমতার ধরনা নিয়ে কটাক্ষ সুজনের

সৈকত দাস |

Apr 13, 2021 | 4:33 PM

"এটা তো তৃণমূল ও বিজেপির এক এক ফর্মুলা।'' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর

এটাও এক ধরনের প্রচার, মমতার ধরনা নিয়ে কটাক্ষ সুজনের
ফাইল চিত্র

Follow Us

জলপাইগুড়ি: নির্বাচন কমিশন (Election Commission) তাঁর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তাঁর কটাক্ষ, “এটাও তো একধরনের প্রচার। এটা কেন হবে?”

পাশাপাশি যাদবপুর বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চা মনোনীত সিপিএম প্রার্থী সুজনবাবু বিজেপির রাহুল সিনহার শো-কজ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন। তাঁর কথায়, “এটা তো তৃণমূল ও বিজেপির এক এক ফর্মুলা।” তিনি যোগ করেন শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহাকে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিলেই হবে না। যারা যারা উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন তাঁদের প্রত্যেককে নির্বাচনী প্রচার থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তাই এ ক্ষেত্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুর ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে না প্রশ্ন তোলেন সুজন।

মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির দলীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়ের সমর্থনে জনসভা করেন সুজন চক্রবর্তী। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির নেতা রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু সকলেই জড়িত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৪ ঘণ্টা এবং বিজেপির রাহুল সিনহাকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য প্রচার থেকে সরিয়ে দিয়েছে।”

আরও পড়ুন: সিবিআই চায় জিয়নকাঠি দিয়ে তৃণমূলকে টিকিয়ে রাখতে: পার্থকে নোটিস প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সুজন

তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল সিনহার শো-কজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এটা তৃণমূল ও বিজেপির এক এক ফর্মুলা। মমতাকে প্রচার থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য সরিয়ে দেওয়ার পর ধরনার মাধ্যমেও তিনি পরোক্ষে প্রচারই করছেন বলে মত সুজনের।

সুজন চক্রবর্তীর দাবি, “বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসু যেভাবে প্রকাশ্যে শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, উস্কানিমূলক মন্তব্য করবেন তাদের প্রচার থেকে একবারে সরিয়ে দেওয়া উচিত। নাহলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।”

Next Article