৩ দফার ভোট একসঙ্গে হলে হবে বাহিনী সঙ্কট! বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের
কোভিডের (COVID Situation) কোপে কি বাংলার ভোট? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। জোর জল্পনা শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) অন্দরেই।
কলকাতা: কোভিডের (COVID Situation) কোপে কি বাংলার ভোট? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। জোর জল্পনা শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) অন্দরেই। সেক্ষেত্রে ২৪ এপ্রিল এক সঙ্গে হতে পারে তিন দফা। দিল্লিতে মুখ্য কমিশনারের বৈঠকে হচ্ছে চূড়ান্ত আলোচনা।
কোভিডে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক প্রার্থীর। নিজের কেন্দ্র ভোটগ্রহণের আগেই সংক্রমণে মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক। প্রচারে বেরিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে কো-মর্বিডিটি হিসেবে ছিল ব্লাড সুগার। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। আরও বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে কমিশন। নির্বাচন সদনে ভোটের দফা কমানোর চিন্তাভাবনা চলছে। এই নিয়ে নির্বাচনী আধিকারিকরা বসবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও। শেষ তিন দফার ভোট এক সঙ্গে হলে, আদৌ বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব কিনা। যে বাহিনী হাতে রয়েছে, তা পর্যাপ্ত কিনা, সে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে হবে।
আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে কমিশনের কাছে। তা হল ভোট কর্মীদের এক সঙ্গে করা। তিন দফার ভোট হলে, সেই মোতাবেক কর্মীদের ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল। সেক্ষেত্রে একসঙ্গে তিন দফা হলে, তাতেও বদল আনতে হবে। সমস্ত দিকগুলিকে একসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সর্বোপরি সর্বদল বৈঠকেও একটা প্রস্তাব দেওয়া হবে, তারা কতটা এই বিষয়ে এক মত। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, অতিমারি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা তাঁরা মেনে নেবেন। বাকি দলগুলিরও মত নেবে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: মৃতের সংখ্যা পেরল হাজার! অবশেষে ভোটের দফা নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে নির্বাচন কমিশন
তিন দফার ভোট এক সঙ্গে হলে, কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন হবে, তা নিয়েও বৈঠক হবে। ইতিমধ্যেই বিএসএফের তরফে একটি বৈঠক হতে চলেছে। রাজ্যে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে, তার সমন্বয় সাধনের দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। প্রাথমিকভাবে বিএসএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অতিমারি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যদি আগামী তিন দফা ভোট একসঙ্গে করতে হয়, তাহলে ১১৪টা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। সেখানে হাজার কোম্পানি দিয়ে ১১৪ টা কেন্দ্রে ভোট করানো সম্ভব নয়। কারণ স্পর্শকাতর বুথগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী দিতে হবে। বাহিনী বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিতে চলেছে বিএসএফ।