নন্দীগ্রাম-মামলায় তৃণমূল কর্মীদের ছাড় রাজ্যের? ‘জঘন্যতম অপরাধ’ পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির

নন্দীগ্রাম মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণের পর্যবেক্ষণ, ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার জঘন্যতম অপরাধ। ভোট বাংলায় (West Bengal Assembly Election 2021) এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নন্দীগ্রাম-মামলায় তৃণমূল কর্মীদের ছাড় রাজ্যের? 'জঘন্যতম অপরাধ' পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2021 | 5:03 PM

কলকাতা: নন্দীগ্রাম (Nandigram Movement) জমি আন্দোলনে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে চলা মামলা প্রত্যাহার সিদ্ধান্তে হাইকোর্টে (High Court) ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। নন্দীগ্রাম মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণের পর্যবেক্ষণ, ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার জঘন্যতম অপরাধ। ভোটের আবহে এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

২০০৭ সালে, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে প্রায় ৩০৩ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আদালতে বেশ কিছু মামলা রুজু হয়। ফৌজদারি মামলা ছিল রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধেও। সেই মামলাই প্রত্যাহার করতে চায় রাজ্য। সম্প্রতি এই অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি তাঁর আবেদনে বলেন, ১৩ টি ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।

ভোট আবহে সেটি কীভাবে সম্ভব? তাঁর বক্তব্য, এই ভাবে বাকি জায়গা থেকেও যদি ফৌজদারি মামলা তুলে নেওয়া হয়, তাহলে বাকি মামলাগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে? ফৌজদারি মামলা অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা, সে ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ কীভাবে করতে পারে রাজ্য সরকার? দ্রুত যাতে তাঁর মামলা শোনা হয়, সে বিষয়েও হাইকোর্টে আবেদন করেন ওই ব্যক্তি।

বুধবার আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। আবেদন শোনার সময়ই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘এটি জঘন্যতম অপরাধ।’ আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। তবে এটি আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ, কারই প্রধান বিচারপতির ঘরেই বুধবার নতুন করে আনিসুর রহমানের মামলার শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই বার্তা দেওয়া ছাড়া উপায়ও নেই মমতা তথা তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রশ্ন শুধু শুধু নন্দীগ্রামের গড় রক্ষাই নয়, বিষয়টি তার চেয়েও গুরুতর। এই নন্দীগ্রামেই ৩৪ বছরের বাম শাসনের বীজ পোঁতা হয়েছিল। এই নন্দীগ্রামই ছিল পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর। এবার সেখানেই ঘাসফুলের পতাকাতলে সমবেতদের রক্ষা করা বড় চ্যালেঞ্জ মমতার।

আরও পড়ুন: এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম! মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথ কি অবশ্যম্ভাবী? স্পষ্ট করলেন দিলীপ

এবার নেত্রী সেখান থেকেই প্রার্থী হবেন বলে ঘোষণা করেছেন। শোনা যাচ্ছে, দ্বৈরথ হতে পারে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই। সেই শুভেন্দু, যিনি কিনা নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মমতার শরিক ছিলেন। আজ পাটিগণিতের অঙ্ক অনেক বদলেছে। ফলে নন্দীগ্রাম আজ তৃণমূলের প্রেস্টিজ ফাইটে পরিণত হয়েছে।