ভোটের মুখে কসবায় তৃণমূলের দুই ওয়ার্ড সভাপতি ‘বদল’, উঠছে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ

Mar 15, 2021 | 4:20 PM

সূত্রের খবর, জাভেদ খান (Javed Khan) আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তিনি হেরে যেতে পারেন। তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হতে পারে।

ভোটের মুখে কসবায় তৃণমূলের দুই ওয়ার্ড সভাপতি বদল, উঠছে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ
ভোটের মুখে তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ।

Follow Us

কলকাতা: ভোটের মুখে ফের তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ। এবার নিজের বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত দু’টি ওয়ার্ডের সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি দিলেন কসবার তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান। সেইমতো দু’জনকে পদ থেকে সরানোও হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব মানতে নারাজ দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার। তাঁর দাবি, দু’জনকে অন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ভারই সামলাচ্ছেন তাঁরা।

গত লোকসভা নির্বাচনে ১০৭ এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৭০০ ভোটে এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৫০০ ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসকদল। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মণীন্দ্র দত্ত। তৃণমূলের অন্দরেরই অভিযোগ, এই দু’জনের সঙ্গে জাভেদ খানের সম্পর্ক খুব একটা স্বাভাবিক নয়।

আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে ব্যস্ত, এখনই হাজিরা সম্ভব নয়, আইকোরকাণ্ডে সিবিআইকে বার্তা পার্থর

এমনকী সুশান্ত ঘোষ আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে জাভেদ-অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এরইমধ্যে ভোটের আগে জাভেদ খান আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তিনি হেরে যেতে পারেন। তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাঁর অভিযোগের তির সুশান্ত এবং মণীন্দ্রের দিকে। সেই জায়গা থেকেই সুব্রত বক্সীকে চিঠি দেন তিনি। দলও তা মান্যতা দিয়ে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে জাভেদ-অনুগামী রবীন দাস এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে জাভেদ খানের ছেলে ফৈয়াজ আহমেদ খানের অনুগামী বলাই সমাজপতিকে ব্লক সভাপতি করে বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর। এ নিয়ে এলাকা এখন বেশ সরগরম।

যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের তত্ত্ব মানতে চাননি দেবাশিস কুমার। তিনি বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য কিছুই হয়নি। ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট যাঁরা ছিলেন, দল তাঁদের অন্য দায়িত্ব দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কাজই সামলাচ্ছেন তাঁরা। ভোটের মুখে ওয়ার্ডের কাজ যাতে ব্যহত না হয়, সে কারণেই নতুন দু’জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ অন্য কোনও রং দিতে চাইলেও তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।”

Next Article