‘এই আলাপন, এই দ্বিবেদী, এই বীরেন্দ্র… ডাকলেই ওঁরা ম্যাম, ম্যাম, ম্যাম করেন, সবকটাকে সরাতে হবে’

আরাবুল ইসলাম, সওকত মোল্লাদের মত ব্যাক্তিরা থাকতে অবাধ নির্বাচন হতে পারে না, কমিশনের কাছে গুচ্ছ দাবি তুলে মন্তব্য শুভেন্দুর

'এই আলাপন, এই দ্বিবেদী, এই বীরেন্দ্র... ডাকলেই ওঁরা ম্যাম, ম্যাম, ম্যাম করেন, সবকটাকে সরাতে হবে'
গ্রাফিক্স
Follow Us:
| Updated on: Feb 27, 2021 | 6:45 PM

হুগলি: বাংলায় আট দফা ভোট নিয়ে পরোক্ষে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বঙ্গ ভোটে পুলিশ পর্যবেক্ষকের বিবেক দ্বিবেদীকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। এবার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভোটের স্বার্থে মমতা সরকারের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার হুগলির সভা থেকে তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশনের উচিত অবিলম্বে এ নিয়ে পদক্ষেপ করা।

ঠিক কী কী অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর?

এদিনের সভা থেকে বিজেপি নেতা বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাছে কয়েকটা দাবি রাখতে চাই। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় দেখছিলাম নবান্নে খোলা হল নির্বাচনী সেল।” কিন্তু বিজেপি নেতার দাবি, রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই সেল নবান্নে রাখা যাবে না। কারণ, সেখান থেকে পুরো ব্যবস্থাকে দলীয়করণ হবে বলে অভিযোগ। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে তাক করে শুভেন্দুর মন্তব্য, এঁদের অঙ্গুলি হেলনে চলেন নবান্নের কর্তারা। ডিজি থেকে মুখ্যসচিব সবাই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আজ্ঞাবহ বলে চূড়ান্ত অভিযোগ শানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। এরপরই মমতার বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকের কথা তুলে ধরে শুভেন্দুর কটাক্ষ, “আপনারা দেখেছেন, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে উনি এই আলাপন, এই দ্বিবেদী, এই বীরেন্দ্র, এই সুরজিৎ বলেন। আর তাঁরা বলছেন ম্যাম, ম্যাম, ম্যাম… অতএব এই ম্যাম করা লোকেদের নবান্নে ইলেকশন সেলে বসিয়ে ভোট করা যায় না। ওখান থেকে তুলে দিতে হবে।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী দফতর বা সিএমও-র শীর্ষ কর্তাদের দিকেও রাজনীতিকরণের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “সমস্ত নীতি সরিয়ে রেখে সৌমেন ব্যানার্জি, সৌম্য হালদারের মতো ডব্লিউবিসিএস অফিসাররা বসে আছেন। তাঁদের কাজ বিডিও, ওসিদের প্রভাবিত করা। এই ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে।” এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দুর তোপ, রাজ্যের ১০০-র বেশি পুরসভায় প্রকাশকের নামে রাজনৈতিক নেতাদের বসিয়ে রেখেছেন (পড়ুন মমতা)। এঁরা সবাই পার্টির ক্যাডার বলে মন্তব্য করেন অধুনা বিজেপি নেতা। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর আবেদন, এই প্রশাসকদের অবিলম্বে সরাতে হবে। এঁদের রেখে এই নির্বাচন করা যাবে না।

আরও পড়ুন: ‘কোনও বেয়াদপি সহ্য করা হবে না’, ভোটের মুখে তিন নেতাকে সাসপেন্ড করে কড়া বার্তা বিজেপির

আরও একটি দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। তাঁর ভাষায় ‘ভয়ঙ্কর দাবি’। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি নেতার অভিযোগ, প্রত্যেক থানার অফিসার, সিআইডি, এসটিএফ ইত্যাদি বিরোধী নেতাদের ফোনে আড়ি পাতেন। বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফোনে আড়ি পেতে তাদের কথাবার্তা শোনা এবং সভা-সমিতির পরিকল্পনা জেনে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তাই কমিশনের কাছে তাঁর আবেদন, অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। কারণ এঁদের জন্য অবাধ নির্বাচন হতে পারে না বলে দাবি বিজেপি নেতার। তিনি জানান এদিন তিনি মৌখিক ভাবে বললেন। এরপর দলের তরফেও এই দাবিগুলি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।