West Bengal Panchayat Elections 2023: পঞ্চায়েত ভোটে অভিনব প্রচার, গ্রাম বাংলাকে জুড়তে শিয়ালদহ স্টেশনে কুণালরা

West Bengal Panchayat Elections 2023: এদিন নিত্য যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল ঘোষ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কুণালের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে অভিনব। এবং এটি তৃণমূলের একটি নির্বাচনী প্রচারও বলা যেতে পারে। শিয়ালদা-হাওড়া ব্যস্ততম প্ল্যাটফর্ম।

West Bengal Panchayat Elections 2023:  পঞ্চায়েত ভোটে অভিনব প্রচার, গ্রাম বাংলাকে জুড়তে শিয়ালদহ স্টেশনে কুণালরা
কুণাল ঘোষ। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 22, 2023 | 2:44 PM

কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন গ্রামের, কিন্তু সেই নির্বাচনী লড়াইয়ে গ্রামের মানুষের পাশে রয়েছে মহানগর। অভিনব এই বার্তা পৌঁছে দিতে বৃহস্পতিবার ব্যস্ত সময়ে শিয়ালদহ স্টেশনে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নিত্যযাত্রীদের হাতে দেওয়া হয় লিফলেট। তাতে লেখা বক্তব্যের সারমর্ম একটাই, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার আবেদন।

এদিন নিত্য যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল ঘোষ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কুণালের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে অভিনব। এবং এটি তৃণমূলের একটি নির্বাচনী প্রচারও বলা যেতে পারে। শিয়ালদা-হাওড়া ব্যস্ততম প্ল্যাটফর্ম। গ্রাম বাংলার সঙ্গে শহরের সংযোগস্থাপনকারী দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেল ডিভিশন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে গ্রাম থেকে শহরে আসেন কর্মসংস্থানের স্বার্থে।

গ্রাম ঘুরে প্রচার সারছেন স্থানীয় স্তরের নেতা-কর্মী-প্রার্থীরা। তবে যাঁরা সাতসকালে ট্রেনে চেপে গ্রাম থেকে শহরে আসছেন, তাঁদের মননে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কারণ গেঁথে দিতে কুণালের এই পদক্ষেপ। প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কুণাল ঘোষ। কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন।

শিয়ালদা স্টেশনের পাশাপাশি তিন দিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে হাওড়া স্টেশনেও। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিয়ালদা স্টেশনেও এই প্রচারে থাকবেন মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ অন্যান্যরা। হাওড়া স্টেশনে তৃণমূল নেতা অরূপ রায় নেতৃত্বে চলবে প্রচার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদল মহারণের স্ট্র্যাটেজি হিসাবে মূলত জনসংযোগের ওপরেই জোর দিয়েছে। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি, কয়েকটি সরকারি প্রকল্প ও কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’কেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন। গ্রামের মানুষ যাঁরা সাতসকালেই কলকাতায় বেরিয়ে আসেন কাজে, তাঁদেরকে সম্যক ভাবে এই কথা বলতে স্টেশন চত্বরেই অপেক্ষা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রভাব দেখা গিয়েছে।