রানির জাতীয় পুরস্কার, কী বললেন ছবির বর অনির্বাণ?
এই ছবিতে রানির চরিত্রটা বাঙালি। অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা গিয়েছিল তাঁর বরের চরিত্রে। এই দম্পতি থাকে নরওয়ে-তে। সেখানে বাচ্চাদের নিয়ে সংসার করছিল তারা। কিন্তু ঘটনাচক্রে মায়ের থেকে বাচ্চাদের কেড়ে নেয় প্রশাসন। কেন এমন ঘটল, কীভাবে মা তার বাচ্চাদের ফিরে পাবে, তা নিয়েই ছবিটা। ছবিতে অনির্বাণের চরিত্রটির সঙ্গে রানির চরিত্রের বিচ্ছেদ হয় একটা সময়ের পর।

রানি মুখোপাধ্যায় জাতীয় পুরস্কার পেলেন ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির জন্য। এই ছবিতে রানির বরের চরিত্র করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। রানির পুরস্কারে খুশি হয়েছেন অভিনেতা। তিনি রানির উদ্দেশে টুইট করেছেন, ”তোমার সঙ্গে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে কাজ করতে করতে পারাটাই সম্মানের। তোমার অসাধারণ কাজ, ছবির প্রতিটা মুহূর্তকে স্মরণীয় করে তুলেছে। ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তোমার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।”
এই ছবিতে রানির চরিত্রটা বাঙালি। অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা গিয়েছিল তাঁর বরের চরিত্রে। এই দম্পতি থাকে নরওয়ে-তে। সেখানে বাচ্চাদের নিয়ে সংসার করছিল তারা। কিন্তু ঘটনাচক্রে মায়ের থেকে বাচ্চাদের কেড়ে নেয় প্রশাসন। কেন এমন ঘটল, কীভাবে মা তার বাচ্চাদের ফিরে পাবে, তা নিয়েই ছবিটা। ছবিতে অনির্বাণের চরিত্রটির সঙ্গে রানির চরিত্রের বিচ্ছেদ হয় একটা সময়ের পর। এই ছবিতে শুধু রানির নয়, অনির্বাণের কাজও প্রশংসিত হয়েছিল।
লক্ষণীয়, এই ছবিটার শুটিংয়ের সময়ে অনির্বাণের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। ‘মন্দার’ আর ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ ছবির পরিচালক হিসাবে পাওয়া গিয়েছে অনির্বাণকে। আবার আগের বছর পর পর্যন্ত একের পর এক বাংলা ছবির শুটিং করেছেন তিনি। সঙ্গে আছে বিজ্ঞাপনের কাজ। এই বছর কয়েক মাস অবশ্য অনির্বাণকে বাংলা ছবির শুটিং করতে দেখা যায়নি। টেকনিশিয়ানদের ফেডারেশনের সঙ্গে কিছু পরিচালকের মতবিরোধ হওয়ায় তাঁরা আইনি পথে হেঁটেছেন। তা নিয়ে এতটাই জলঘোলা হয়েছে যে অনির্বাণ সম্প্রতি জানান, তাঁর কাছে কোনও কাজ নেই। এই জট কেটে আবার কবে অভিনেতা শুটিং ফ্লোরে ফিরবেন, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
