প্রথম প্রেম, মা কালীর দিকে তাকিয়ে কী প্রতীজ্ঞা করেছিলেন অপরাজিতা

Aparajita Love Story: প্রেমিক মনে তোলপাড় ঝড় তুলে দিয়েছিল অপরাজিতার। তাঁকে ছাড়া কিছুই ভাল লাগত না অভিনেত্রীর। চোখে ধুতরো ফুল দেখতেন অপরাজিতা। সেই প্রেমিককের পরবর্তীকালে কী হল? কেন তাঁকে বিয়ে করলেন না অভিনেত্রী, জানেন?

প্রথম প্রেম, মা কালীর দিকে তাকিয়ে কী প্রতীজ্ঞা করেছিলেন অপরাজিতা
Follow Us:
| Updated on: Dec 19, 2024 | 4:28 PM

তখন তিনি নবম শ্রেণি, তখন তিনি শাড়ি! ক্লাস নাইনে পড়ার এই সময়টায় জীবনে বেণিমাধবদের আগমন ঘটে। খুবই স্পর্শকাতর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নতুন প্রেম কিংবা অনেকের ক্ষেত্রেই প্রথম প্রেমও ঘটে। সেই বয়সটাতেই অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর জীবনে নতুন প্রেম এসেছিল। সেই প্রেমিক মনে তোলপাড় ঝড় তুলে দিয়েছিল অপরাজিতার। তাঁকে ছাড়া কিছুই ভাল লাগত না অভিনেত্রীর। চোখে ধুতরো ফুল দেখতেন অপরাজিতা। সেই প্রেমিককের পরবর্তীকালে কী হল? কেন তাঁকে বিয়ে করলেন না অভিনেত্রী, জানেন?

ক্লাস নাইনে পড়ার সময় এক যুবককে মন দিয়ে ফেলেছিলেন অপরাজিতা। কিন্তু তাঁর মায়ের একেবারেই পছন্দ ছিল না ছেলেটিকে। নানাভাবে ভেস্তে দিতে চেয়েছিলেন সম্পর্কটা। কিন্তু মেয়ে নাছোড়। সেই ছেলেকেই তাঁর চাই। অপছন্দের পাত্রকে মেয়ের জীবন থেকে চিরদিনের মতো দূর-দূর করতে এক অনন্য উপায় অবলম্বন করেছিলেন অপরাজিতার মা।

অপরাজিতা যে বাড়িতে থাকতেন, হাওড়ার সেই পাড়ায় ছিল এক রক্ষাকালীর মন্দির। প্রেমিকের পরিচয় জানতে পারে অভিনেত্রীর মা তাঁকে হিড়-হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই মন্দিরে। তারপর মায়ের কাছে শপথ করে বলতে বলেছিলেন, “বল, সেই ছেলের দিকে তাকাবি না।” একদিকে মায়ের চোখ রাঙানি, অন্যদিকে মনের অনিচ্ছা, জানেন কী করেছিলেন অপরাজিতা? রক্ষাকালীর দিকে তাকিয়ে অপরাজিতা বলেছিলেন, “মা যা বলছে বলুক, আমি কিন্তু এই ছেলেকে কখনও ভুলতে পারব না।

সেই ছেলেকে কিন্তু কোনওদিনও পাননি অপরাজিতা। ক্লাস নাইনের পর সেই প্রেম ইতি হয়। অপরাজিতার সঙ্গে বিয়ে হয় অতনু হাজরার। অতনু হাজরা ছিলেন টলিউডের একজন সুদক্ষ টেকনিশিয়ান। অভিনয় করতে এসে অতনুর সঙ্গে আলাপ হয় অপরাজিতার। অভিনেত্রীকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন অতনুই। না করে দিয়েছিলেন অপরাজিতা। এক বান্ধবীর জোরাজুরিতে অতনুর বাড়িতে গিয়ে সকলের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন অপরাজিতা। মনে-মনে স্থির করেছিলেন, ওই বাড়িতেই বিয়ে করবেন। অতনুকে বিয়ে করার পিছনে কারণ ছিল শাশুড়ি। অতনুর মা, অর্থাৎ অপরাজিতার শাশুড়ি মাকে দেখে অতনুকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন অপরাজিতা।