হুগলি: সিঙ্গুর বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের (Srijan Bhattacharya) সমর্থনে পদযাত্রায় অংশ নিলেন সিপিএম-র বরিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং টলিউডের শিল্পীরা। সৃজনের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এছাড়াও হাজির ছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, শ্রীলেখা মিত্র, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুনাভ ঘোষ, সুদর্শন রায়চৌধুরী। সিঙ্গুরের অপূর্বপুর থেকে শুরু করে এই পদযাত্রা শেষ হয় সিঙ্গুরের নতুন বাজারে। পদযাত্রা শুরুর আগে বক্তব্য রাখেন শ্রীলেখা মিত্র। বক্তব্য রাখেন বিমান বসুও।
শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “আজকাল শিল্পীদের ছবি দিয়ে বলা হয়, যাদের শিরদাঁড়া সোজা তাঁরা এখনও বিক্রি হল না। মাঝে মাঝে মনে হয়, এটা নিয়ে গর্ববোধ হওয়া উচিত নাকি মাথা নত হওয়া উচিত। এমন করে বলা হচ্ছে যেন, মাছের দোকানে ফলের দোকানে সবজির দোকানে শিরদাঁড়া পাওয়া যায়। ডিসকাউন্টে বিক্রি হয় নাকি! শিরদাঁড়া তো মানুষকে সোজা রাখতে সাহায্য করে। সেটা দিয়ে আমাদের বোঝাতে হবে কেন? তাহলে কি আজ কাল সত্যিই শিরদাঁড়া বিক্রি হচ্ছে!”
অন্যদিকে বিমান বসুকে বলতে শোনা যায়, “শিল্প না হতে দিয়ে সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা ব্যায় করেও একটা বড় শিল্প আনতে পারেনি তৃণমূল। শিল্প তাড়ুয়া তৃণমূল কংগ্রেস।” মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমরা বিজেপি বিরোধী হলেও মুখ্যমত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কখনও হোঁদলকুতকুত বলতে পারব না। মোটা দাদা বলতে পারব না।”
আরও পড়ুন: ৯০০ কোটির স্ক্যাম! অভিষেকের বাড়িতে মাসে ৩৫-৪০ কোটি টাকা পাঠাত লালা, বিস্ফোরক দাবি বিজেপির
তিনি আরও যোগ করেন, “বিজেপি দেশের চরম শত্রু। এই বিজেপিকে রাজ্যে নিয়ে এসেছে তৃণমূল। সিঙ্গুরের মানুষ সব দেখেছেন। বামেদের সময় কিছু ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। তবে শিল্প করার সিদ্ধান্ত ব্যাপারে সঠিক ছিল। সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে না ওঠার কারণেই রাজ্যে কোথাও শিল্প গড়ে ওঠেনি বলে তিনি দাবি করেন।”
আরও পড়ুন: জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ, ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী সংঘর্ষে মৃত ২২ জওয়ান