একটি ছবি, আর সেই ছবি নিয়েই এখন চারিদিকে নানা চর্চা। বাংলায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হরিয়ানায় এই ছবি করমুক্ত। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বক্স অফিস জানাচ্ছে, দৌড়চ্ছে সুদীপ্ত সেনের এই ছবি। কিন্তু বাংলায় নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে মোটেও খুশি নন টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবিতির পরিচালক সুদীপ্ত সেন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে মুখ খুলেছিলেন এবার সরাসরি মমতার নাম না নিয়েও নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে গর্জে উঠলেন ছবিটির নায়িকা আদাহ শর্মা। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তাঁর অভিযোগ, সিবিএফসি (Central Board of Film Certification) যেখানে এই ছবি মুক্তির জন্য সমস্ত ছাড় দিয়েছে সেখানে দাঁড়িয়ে ছবিটি না দেখে কী করে রাজ্য সরকার এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে পারে? তাঁর কথায়, “এক সপ্তাহ হয়ে গেল ছবিটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি সত্যি জানি না কেন! আমার মনে হয় সেন্সর বোর্ডই সমস্ত ছবির ক্ষেত্রে বিচারক। যদি তাঁরা ছবিটি মুক্তির সিদ্ধান্ত দেন, তবে সবারই তা দেখা উচিৎ। তারপর এ নিয়ে মতামত দেওয়া উচিৎ যে ছবিটি ভাল লেগেছে নাকি লাগেনি।” তাঁর সরাসরি প্রশ্ন, ছবিটি না দেখেই কী করে ব্যান করা যেতে পারে? আদাহ যোগ করেন, “আমি জানি না। যা হয়েছে সেটা ঠিক না। যদি এমনটাই হয়ে থাকে তবে সেন্সর বোর্ডকে আমরা মোটেও সম্মান করছি না।” তবে আদাহ খুশি, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মানুষজন যে ছবিটি দেখছেন। একই সঙ্গে তাঁর মত, এই ছবিটি আর শুধু ছবিতেই সীমাবদ্ধ নেই, তা পরিণত হয়েছে এক আন্দোলনে।
গত ৫মে মুক্তি পায় ছবিটি। ছবিটি মুক্তির চার দিনের দিন অর্থাৎ গত ৮ মে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন এই ছবির প্রদর্শন পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ করতে হবে। কেন এই বন্ধের নির্দেশ? তিনি জানান, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রীতি বজায় রক্ষার্থে এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল বলেই জানানো হয় সরকারের তরফে। যদিও টিভিনাইন বাংলা যখন কলকাতা ও শহরতলির বেশ কিছু হল মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের তরফে জানানো হয় তিন দিনেই বেশ ভাল ব্যবসা করেছে এই ছবি। শুধু তাই নয়, ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পর জেলার বেশ কিছু হলে এ নিয়ে প্রতিবাদও শুরু হয়। ঘটনা এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে পুলিশকেও ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
কী আছে ছবিটিতে? কেন মুক্তির পর থেকেই বাঙালি পরিচালকের এই ছবি ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা মত?ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম শালিনী উন্নিকৃষ্ণণ। জন্মসূত্রে হিন্দু, শালিনী পাকচক্রে কেন ফতিমা হন বা হতে বাধ্য হন, তা নিয়েই ছবি। শুধু তাই-ই নয়, সিরিয়ার জঙ্গি বাহিনীতে তাঁর যোগদান, অসহায়তা, দুর্বিষহ জীবনই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তিনি, এমনটাই দাবি করেছেন সুদীপ্ত। ট্রেলারে দাবি করা হয়েছে, কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছেন।
একটি ছবি, আর সেই ছবি নিয়েই এখন চারিদিকে নানা চর্চা। বাংলায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও হরিয়ানায় এই ছবি করমুক্ত। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বক্স অফিস জানাচ্ছে, দৌড়চ্ছে সুদীপ্ত সেনের এই ছবি। কিন্তু বাংলায় নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে মোটেও খুশি নন টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবিতির পরিচালক সুদীপ্ত সেন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে মুখ খুলেছিলেন এবার সরাসরি মমতার নাম না নিয়েও নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে গর্জে উঠলেন ছবিটির নায়িকা আদাহ শর্মা। এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তাঁর অভিযোগ, সিবিএফসি (Central Board of Film Certification) যেখানে এই ছবি মুক্তির জন্য সমস্ত ছাড় দিয়েছে সেখানে দাঁড়িয়ে ছবিটি না দেখে কী করে রাজ্য সরকার এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে পারে? তাঁর কথায়, “এক সপ্তাহ হয়ে গেল ছবিটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমি সত্যি জানি না কেন! আমার মনে হয় সেন্সর বোর্ডই সমস্ত ছবির ক্ষেত্রে বিচারক। যদি তাঁরা ছবিটি মুক্তির সিদ্ধান্ত দেন, তবে সবারই তা দেখা উচিৎ। তারপর এ নিয়ে মতামত দেওয়া উচিৎ যে ছবিটি ভাল লেগেছে নাকি লাগেনি।” তাঁর সরাসরি প্রশ্ন, ছবিটি না দেখেই কী করে ব্যান করা যেতে পারে? আদাহ যোগ করেন, “আমি জানি না। যা হয়েছে সেটা ঠিক না। যদি এমনটাই হয়ে থাকে তবে সেন্সর বোর্ডকে আমরা মোটেও সম্মান করছি না।” তবে আদাহ খুশি, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মানুষজন যে ছবিটি দেখছেন। একই সঙ্গে তাঁর মত, এই ছবিটি আর শুধু ছবিতেই সীমাবদ্ধ নেই, তা পরিণত হয়েছে এক আন্দোলনে।
গত ৫মে মুক্তি পায় ছবিটি। ছবিটি মুক্তির চার দিনের দিন অর্থাৎ গত ৮ মে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন এই ছবির প্রদর্শন পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ করতে হবে। কেন এই বন্ধের নির্দেশ? তিনি জানান, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রীতি বজায় রক্ষার্থে এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল বলেই জানানো হয় সরকারের তরফে। যদিও টিভিনাইন বাংলা যখন কলকাতা ও শহরতলির বেশ কিছু হল মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের তরফে জানানো হয় তিন দিনেই বেশ ভাল ব্যবসা করেছে এই ছবি। শুধু তাই নয়, ছবিটি নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পর জেলার বেশ কিছু হলে এ নিয়ে প্রতিবাদও শুরু হয়। ঘটনা এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে পুলিশকেও ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
কী আছে ছবিটিতে? কেন মুক্তির পর থেকেই বাঙালি পরিচালকের এই ছবি ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা মত?ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম শালিনী উন্নিকৃষ্ণণ। জন্মসূত্রে হিন্দু, শালিনী পাকচক্রে কেন ফতিমা হন বা হতে বাধ্য হন, তা নিয়েই ছবি। শুধু তাই-ই নয়, সিরিয়ার জঙ্গি বাহিনীতে তাঁর যোগদান, অসহায়তা, দুর্বিষহ জীবনই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তিনি, এমনটাই দাবি করেছেন সুদীপ্ত। ট্রেলারে দাবি করা হয়েছে, কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছেন।