মুন্নাভাইয়ের ‘সার্কিট’কে মনে আছে নিশ্চয়ই? আরশাদ ওয়ারসি — ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের যোগ্যতায় পরিচিতি বানিয়েছেন তিনি। বলিউডের গ্ল্যামারের কথা তো সকলেই জানা কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিকটা! যে অন্ধকারে একবার কেউ পড়লে বেরিয়ে আসা কঠিন– যদিও সবার ক্ষেত্রে সমীকরণটা এক নয়। স্টারকিড হলে ছাড় পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রেই– এ সব নিয়েই মুখ খুললেন আরশাদ। আরশাদের কোনও ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। তাই তাঁর মনে হয় তাঁদের মতো যারা আছেন, তাঁদের যদি কোনও ছবি ফ্লপ হয়েও যায় তবে ধাক্কা খেয়ে অনেকটাই নীচে পড়তে হয়।
তাঁর কথায়, “খারাপ লাগে, কিন্তু কী বা করার আছে? কিছু অভিনেতা আছেন যারা বাড়তি সুবিধে পেয়ে থাকেন। আমার মতোও কিছু মানুষ আছেন যারা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পূর্ব যোগ নেই। আমি এই নিয়ে নালিশ করতে পারিন না। এই ইন্ডাস্ট্রি আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। সে কারণে আমি তাকে ভালবাসি। প্রতি সকালে আমি জয়া বচ্চন, অগস্টাইন, অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চনকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা যা দিয়েছেন তা সত্যি কাছের।”
১৯৯৬ সালে ‘তেরে মেরে স্বপ্নে’র মধ্যে দিয়েই বলিউডে ডেবিউ হয়েছিল আরশাদের। ছবিতে আরশাদ ছাড়াও ছিলেন জয়া বচ্চন ও অমিতাভ বচ্চন। পরিচালক ছিলেন জয় অগস্টাইন। নিজের যোগ্যতায় নিজেকে এতদিন ধরে বলিউডে প্রতিষ্ঠা করেছেন আরশাদ। তাই স্টারকিডদের এই বাড়তি সুযোগে তাঁর কি কষ্ট হয়? আরশাদের উত্তর, “আমি মেনে নিয়েছি। হয়তো ভবিষ্যতে আমার ছেলে মেয়েদের সঙ্গেও আমি এরকমটা করব। কিছু অভিনেতা আছেন, যাদের একটি হিট দেওয়ার জন্য অনেক সুযোগ দেওয়া হবে, আবার কিছু জন আছেন যাঁদের ক্ষেত্রে একটি ফ্লপ মানে কেরিয়ার শেষ।” প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে ‘অসুর ২’-এ দেখা যাচ্ছে। হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ।