নির্বাচনী বিধি (Code of Conduct) ভাঙার অভিযোগ অভিনেতা সোনু সুদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী দায়ের হল এফআইআর। এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, ভোটের দিন মোগার লান্ডেক গ্রামে বোনের হয়ে প্রচার চালিয়েছেন অভিনেতা। মোগার একটি ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরেই মোগা থানায় অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে এক রিয়ালিটি শো’র শুটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাতে রয়েছেন সোনু সুদ।
প্রসঙ্গত, ২০২২-এর পঞ্জাব নির্বাচনে মোগা আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সোনুর বোন মালবিকা। ভোটের দিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল অভিনেতার গাড়ি। তাঁকে বাড়িতে ভোটের দিন কার্যত বন্দি থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়। মোগার রিটার্নিং অফিসার প্রভদীপ সিং এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, “সোনু সুদ ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করায় তাঁকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাল্টা সোনু সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছিলেন, “বিরোধী দল বিশেষত অকালি দলের তরফে হুমকির কারণেই ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। সুষ্ঠু ভাবে ভোট করানোই আমাদের লক্ষ”।
নির্বাচনের আগেই একের পর এক বিতর্ক শুরু হয়েছে পঞ্জাবে। একদিকে, ‘উত্তর প্রদেশ-বিহার দে ভাইয়া’ মন্তব্যের জেরে বিরোধী দলগুলির কড়া সমালোচনার শিকার হয়েছেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চরণজিৎ সিং চন্নি। বিহারের পটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক বিজেপি নেতা। সমালোচনা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও।
অন্যদিকে, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালও বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তার প্রাক্তন সতীর্থ কুমার বিশ্বাস সম্প্রতিই বলেছিলেন যে কেজরীবাল ক্ষমতালোভী। তিনি এক সময় বলেছিলেন যে যেভাবেই হোক তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বা স্বাধীন দেশ (খলিস্তান)-র প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন। এবার বিতর্কে জড়ালেন সোনু সুদও। জল কোনদিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।