আরিয়ান খানের জামিন আদৌ হবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত একেবারেই ছিল না খান পরিবার। ২৫ দিন কেটেছে দুশ্চিন্তায়, চোখে পাতা এক করতে পারেননি বাবা শাহরুখ মা গৌরী। তাঁরা বাবা-মা, তাই ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্ত্বেও মানত করেছিলেন ঈশ্বরের কাছে। ছেলে বাড়ি ফেরা না পর্যন্ত মন্নতে মিষ্টি জাতীয় জিনিস প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন গৌরী।
অবশেষে ২৫ দিন পর বৃহস্পতিবার বম্বে আদালত ছেলের জামিনের খবর ঘোষণা করা মাত্রই আবেগ ধরে রাখতে পারেননি গৌরী। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন আরিয়ানের মা। হাঁটু মুড়ে ভগবানকে ধন্যবাদ জানাতে থাকেন। ফোন করেন ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু সীমা খান ও মাহিপ কাপুরকে। মাহিপ কাপুর পরিচয়ে সঞ্জয় কাপুরের স্ত্রী ও শানায়া কাপুরের মা। আর সীমা খান পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। এ ছাড়াও সলমনের ভাই সোহেল খানের স্ত্রী। ফোনের ওই দুই বন্ধুর কাছে অনবরত কাঁদতে থাকেন তিনি। এ কান্না যদিও দুঃখের নয়, আনন্দের। ছেলের বাড়ি ফেরার আনন্দের।
সুহানা এই গোটা সময়টা বিদেশেই ছিলেন। শোনা যাচ্ছে আরিয়ানের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুদেরকেও আরিয়ানের জামিনের খবর পৌঁছে দেন তিনি। সূত্রের খবর ছেলের জামিনের সময় শাহরুখ মন্নতে ছিলেন না। শোনা যাচ্ছে নিরাপত্তাজনিত কারণেই তিনি উঠেছিলেন মুম্বইয়েরই এক হোটেলে। অন্যদিকে দাদার জামিনের খবর পাওয়া মাত্র আব্রামকেও বাড়ির ছাদে এসে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছিল গতকালই। শাহরুখও ফোন পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির নামজাদাদের থেকে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ মন্নত ছিল আরিয়ান-হীন। বাড়ির ছেলে বাড়িতে নেই। জৌলুস হারিয়েছিল জুহুর অতবড় প্রাসাদসম বাড়িটি। কারও মুখে ছিল না হাসির ঝলক। গেটের বাইরে সর্বক্ষণ মিডিয়ার ক্যামেরা তাক করে ছিল। ভিড় ছিল। সলমনের মতো তারকাদের আসা-যাওয়া লেগেই ছিল। প্রিয় বন্ধুর ছেলে, ইন্ডাস্ট্রির এক সন্তান জেলে, চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল সকলের। সকলেই ছিলেন দুশ্চিন্তায়। অবশেষে সেই দুশিন্তা কেটেছে। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছে অবশেষে।