১০ বছর হয়ে গেল নেই বলিউডের সুপারস্টার সকলের প্রিয় কাকা রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)। তিনিই বলিউডের একমাত্র অভিনেতা যাঁর টানা ১৫টি ছবি সুপারহিট। এই রেকর্ড আজ পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি। তিনি যখন অভিনয় করেছেন শোনা যায় তাঁকে না পেলে তাঁর গাড়িকে চুমুতে ভরিয়ে দিতেন মহিলা অনুরাগীরা। তাঁর নায়িকা হতে পারা সেই সময় মনে করা হত ভাগ্যের। তবে অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করলেও সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)-রাজেশ খান্না জুটি। ‘অমরপ্রেম’, ‘আরাধনা’, ‘দাগ’, ‘সফর’-এর কথা মাথায় আসে। পর্দায় তাঁদের শক্তিশালী রসায়ন আজও দর্শক মনে জায়গা করে রেখেছে। শর্মিলা ঠাকুর এবং রাজেশ খান্না একসঙ্গে ১০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন।
কাকার ১০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে, লেজেন্ড অভিনেত্রী কিংবদন্তী অভিনেতা সম্পর্কে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্দৃষ্টি ভাগ করে নিয়েছেন। শর্মিলা ঠাকুর বলেছেন, “আমরা যে স্টুডিওতে কাজ করতাম তাঁর বাইরে নয় থেকে নব্বই পর্যন্ত মহিলাদের লম্বা সারি ছিল। হিস্টিরিয়া ছিল নজিরবিহীন”। তিনি আরও যোগ করেছেন, “তাঁর (রাজেশ খান্না) সম্ভবত এমন গুণাবলী ছিল না যা সাধারণত একজন নায়কের মধ্যে থাকে। কিন্তু তাঁর যা ছিল তা হল মনমাতানো হাসি। তারুণ্যের শক্তি এবং সহজাত নাটকীয় অনুভূতি এবং সুপরিচিত কণ্ঠ যা ব্যবহার করে তিনি সকলের মন ভরাতেন। বলা যেতে পারে এর সম্পূর্ণ সুবিধে নিতেন তিনি”।
‘অমরপ্রেম’-এর অভিনেত্রী আরও শেয়ার করেছেন, কীভাবে রাজেশ খান্না সেটে দেরিতে আসতেন। “কাকা (রাজেশ খান্না) সম্পর্কে একটি জিনিস যা আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করত তা হল তিনি শুটিংয়ে সব সময় দেরি করে আসতেন। সকাল ৯টার শিফটে কাকা কখনই দুপুর ১২টার আগে পৌঁছাননি”। তিনি আরও যোগ করেন, “এই কারণেই আমি অন্যান্য অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটা জানার পরেও যে আমাদের অনস্ক্রিন জুটি খবুই সফল এবং দর্শকরা প্রবল পছন্দ করেন”।
শর্মিলা ঠাকুর তাঁর স্মৃতিচারণ শেষ করেছেন আরও কিছু রাজেশ খান্না সম্পর্কে তথ্য দিয়ে। তিনি লিখেছেন, “রাজেশ খান্না ছিলেন বৈপরীত্য এবং জটিলতায় পূর্ণ একজন মানুষ, আমি তাঁকে তাঁর সহ-অভিনেতা, সহকর্মী এবং বন্ধুদের সঙ্গে খুব উদার হতে দেখেছি… দামী উপহার দিয়ে তাঁদের ভরিয়ে দিতেন। কখনও কখনও তিনি তাঁদের একটি বাড়িও কিনে দেন। কিন্তু এর বিনিময়ে, মনে হয় কাকার তাঁদের কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিল, যা শেষ পর্যন্ত তাঁর সম্পর্কগুলোকে আন্তরিকতাশূণ্য করেছিল”।