Jiah Khan Suicide Case: মেয়ের আত্মহত্যার মামলাকে নিজে হাতে নষ্ট করেছেন খোদ জিয়ার মা-ই, মন্তব্য কোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়িতা চন্দ্র

Apr 29, 2023 | 3:09 PM

Shocking Fact: আদালত এবার দায় চাপাল খোদ জিয়া খানের মায়ের কাঁধেই। সাফ জানিয়ে দিল, জিয়া খানের মা-ই এই মামলাকে নিজে হাতে নষ্ট করেছেন ও ভুল পথে চালিত করেছেন।

Jiah Khan Suicide Case: মেয়ের আত্মহত্যার মামলাকে নিজে হাতে নষ্ট করেছেন খোদ জিয়ার মা-ই, মন্তব্য কোর্টের

Follow Us

রাত পোহাতেই সূরজ পাঞ্চোলি প্রসঙ্গ অতীত। বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় এবার কাঠগোড়ায় খোদ মূল অভিযোগকারিণী—অর্থাৎ জিয়া খানের মা! প্রাথমিকভাবে এমনটাই বক্তব্য সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের। শুক্রবার গোটা নেটদুনিয়া তোলপাড় হয়েছিল জিয়া খান আত্মহত্যা মামলার রায়ে। ২৮ এপ্রিল আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত সূরজ পাঞ্চোলিকে এই মামলায় বেকসুর খালাস ঘোষণা করার পরদিনই প্রকাশ্যে এল জিয়ার মা রাবিয়া খান সম্পর্কে আদালতের মন্তব্য।

২০১৩-র ৩ জুন বলিউডের অন্যতম নয়া মুখ জিয়া খানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় মুম্বইয়ে তাঁর জুহুর ফ্ল্যাট থেকে। এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি কেউই। অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা বারবার দাবি করেছিলেন, আত্মহত্যা করতে পারেন না তাঁদের মেয়ে। রাবিয়া অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন সূরজের দিকে। তবে থেকেই শুরু হয়ে যায় সূরজকে টানাটানি। কে ভুল, কে ঠিক—এক মায়ের টানা ১০ বছর ধরে লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছে গোটা দুনিয়া। তবে ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ পলকে সবটা পাল্টে যায়। সঠিক তথ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয় সূরজ পাঞ্চোলিকে।

এরপরই মুখ খুলেছিলেন জিয়ার মা। প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁর মেয়েকে বিচার কে দেবে? তাঁর বক্তব্যে অনড় রাবিয়া: মেয়েকে খুনই করা হয়েছে। তিনি এর বিচার চান। প্রসঙ্গত, জিয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের ভিত্তিতেই প্রাথমিক মামলা রুজু হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া ছয় পৃষ্ঠার সেই সুইসাইড নোট ঘিরে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। আদালতের মন্তব্য, সেই সুইসাইড নোটের বিবৃতিকে বিকৃত করা বা তার ভুল তর্জমা করেছেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা।

এখানেই শেষ নয়, আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, জিয়া খানের মা-ই এই মামলাকে নিজে হাতে নষ্ট করেছেন অর্থাৎ ভুল পথে চালিত করেছেন।

জিয়া খানের মাকে নিয়ে আদালতের বক্তব্য:

অভিযোগকারিণী রাবিয়া খান বারবার বলেছেন, তদন্তকারী সংস্থা সঠিক পথে তদন্ত করেননি। প্রকাশ্যে এই মন্তব্যের ফলে অভিযোগকারিণী কার্যত নিজেই এই মামলাটাকে নষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে বিচারব্যবস্থার উপর অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। মামলা যখন রুজু হয়েছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনার, তখনও ক্রমাগত তিনি একে হত্যার মামলা বলে অভিযোগ করে গিয়েছেন।

সুইসাইট নোট নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ:

সিবিআই কোর্টের দাবি, জিয়া খানের মা নিজেকে ছাড়া কাউকেই বিশ্বাস করছেন না। প্রত্যেকের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করছেন। বর্তমানে সুইসাইড নোটটি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছে সিবিআই—যে চিঠিতে জিয়া ও সূরজের সম্পর্কে অনেক তথ্য লেখা ছিল। এই চিঠি নাকি হঠাৎ করেই খুঁজে পান জিয়া খানের মা। জিয়ার দেহ উদ্ধারের চারদিন পর এক নোটবুক থেকে উদ্ধার করা হয় এই সুইসাইড নোট। যে চিঠি প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিতে নারাজ ছিলেন রাবিয়া খান। অথচ তিনি তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে দিয়েছিলেন।

সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক এই বিষয়ে আরও মন্তব্য করেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যেখানে চিঠিটি কার লেখা, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।

Next Article