Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জেহর ছ’মাসের জন্মদিন, মালদ্বীপে সেলিব্রেট করলেন করিনা

Kareena Kapoor Khan: দিন কয়েক আগে সইফের ৫১তম জন্মদিন সেলিব্রেট করতে দুই ছেলে তৈমুর এবং জেহকে সঙ্গে নিয়ে মালদ্বীপে গিয়েছেন দম্পতি।

জেহর ছ’মাসের জন্মদিন, মালদ্বীপে সেলিব্রেট করলেন করিনা
জেহকে কোলে নিয়ে করিনা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 4:22 PM

ছ’মাস বয়স হল জাহাঙ্গীর ওরফে জেহর। অর্থাৎ সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুর খানের ছোট ছেলের। জেহকে কোলে নিয়ে নিজের একটি ছবি সোশ্যাল ওয়ালে শেয়ার করেছেন করিনা। উদ্দেশ্য ছেলের প্রতি শুভেচ্ছা। ভালবাসা, আনন্দ এবং সাহসে পরিপূর্ণ থাকুক জেহ। মা হিসেবে এটাই চান করিনা।

দিন কয়েক আগে সইফের ৫১তম জন্মদিন সেলিব্রেট করতে দুই ছেলে তৈমুর এবং জেহকে সঙ্গে নিয়ে মালদ্বীপে গিয়েছেন দম্পতি। সেখানকার একটি প্রাইভেট আইল্যান্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন তাঁরা। ধীরে ধীরে জেহর বিভিন্ন ছবি প্রকাশ্যে শেয়ার করছেন করিনা। সইফকে শুভেচ্ছা জানাতে যে ছবি শেয়ার করেছিলেন, সেখানেই ছিল জেহ। তৈমুরের জন্মের পর থেকেই তার ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল ওয়ালে। তা নিয়ে করিনা এবং খান পরিবারের অন্দরেই মতবিরোধ রয়েছে। তাই জেহর ক্ষেত্রে অনেক সাবধানী করিনা-সইফ। প্রথম থেকেই ছোট ছেলের ছবি তিনি শেয়ার করেননি। এখনও জেহর যা ছবি শেয়ার করছেন, সেখানে ছেলের মুখ স্পষ্ট নয়।

সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি এবং জেহর জন্ম, সব মিলিয়ে অনেকদিন বেড়াতে যাননি সইফ–করিনা। তারপর উপর কাজের চাপ। সব মিলিয়ে নাকি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। সে কারণেই এই ব্রেক তাঁদের প্রয়োজন ছিল। মলদ্বীপে নাকি একটি প্রাইভেট আইল্যান্ডে দিন কয়েকের ছুটি কাটাবেন তাঁরা। করিনা আগেই জানিয়েছেন হাবেভাবে ও দেখতে তৈমুরের থেকে একেবারেই আলাদা তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর ওরফে জেহ। তৈমুর দেখতে বাবা সইফ আলি খানের মতো, অন্যদিকে জেহ দেখতে হুবহু মায়ের মতো। তাঁর কথায়, “আমার দুই সন্তানই চারিত্রিক দিক দিয়েও একেবারে আলাদা। তৈমুর আউটগোয়িং। কিন্তু তিন মাস বয়সেই জেহ অনেক বেশি চুপচাপ, শান্ত।”

পাশাপাশি দুই ছেলের নাম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা নিয়েও মুখ খুলেছেন করিনা। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জাহাঙ্গীরের বেলাতেও অন্যথা হয়নি। করিনার কথায়, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”

নিজের লেখা ‘করিনা কাপুর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইতে শুধু ছেলের নামই ফাঁস করেননি করিনা। জানিয়েছেন সন্তান গর্ভে আসার পর শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের নানা কথাও। সেই পরিবর্তন নিজের জীবনে কীভাবে সামলেছেন করিনা, সে সবই এই বইয়ের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। হবু মায়ের কেমন ডায়েট প্রয়োজন, কতটা ওয়ার্কআউট আসন্ন সন্তানের জন্য ভাল, সে সব সাজেশনও দিয়েছেন তিনি। করিনা আরও জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার পর যে স্ট্রেচ মার্কস হয় তা নয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। সমস্যার এখানেই শেষ নয়, সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই বাচ্চার জন্য একগাদা শপিং করা তাঁর যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ভালবাসা জন্মেছিল পিৎজার প্রতিও। বহুবার বহু মানুষ তাঁকে প্রশ্ন করেছেন, “আমি কি তোমার বেবিবাম্প ছুঁয়ে দেখতে পারি?”

অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে করিনা কাপুর খানকে। করিনা জানিয়েছেন এমন অনেক সময় হয়েছে তিনি হাসছেন, খুব হাসছেন কিন্তু হঠাৎ করেই কান্না পেয়ে গিয়েছে ওই হাসির মুহূর্তের মাঝেই। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘মুড সুইং’ স্বাভাবিক বিষয়, করিনাও তার ব্যক্তিক্রম নন। আবার হাঁচতে গিয়ে প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে তাঁর সঙ্গে। এ সবই বইতে বিশদে লিখেছেন করিনা।

আরও পড়ুন, ‘তুমিই ছিলে… তুমিই থাকবে, … সারা জীবন তোমার পাশে কি রাখবে?’ কার প্রতি এই বার্তা শ্রীমার?