Rhea Chakraborty: ক্লিন চিট আরিয়ানকে, একবার রিয়ার কেসটাও খতিয়ে দেখার আবেদন
Rhea Chakraborty: গত তিন বছর ধরে এই মর্মে একাধিক কেস তৈরি করা হয়েছে। তবে আরিয়ানের কেস সাজানো সেই তথ্য সামনে আসা মাত্রই তিনি জানান, যে প্রতিটা কেস আরও একবার খতিয়ে দেখা উচিত।
২০২০ সাল, রাতারাতি পাল্টে গিয়েছিল বলিউডের স্বরূপ। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল খবর, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সংবাদ, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়েছিল সর্বত্র। রাতারাতি খোলস ছাড়ছিল একের পর এক বলিউডের অন্দরমহলের কাহিনি। যার মধ্যে অন্যতম ছিল মাদক মামলা। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল খবর। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় প্রথম যে নাম উঠে আসতে দেখা গিয়েছিল, তিনি হলেন রিয়া চক্রবর্তী। শেষ সময় তিনিই ছিলেন সুশান্তের সঙ্গে। মানসিক অবসাদ থেকে শুরু করে মাদক মামলা, ধীরে ধীরে ভাইরাল হয়ে ওঠে এক একটি খবর।
৫০ দিনের জেল থেকে শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক মাদকের নেশায় বুঁদ সেলেবের নামও উঠে আসে খবরের শিরোনামে। ডাক আসে বাঘা বাঘা ২৫ সেলেবেরও। তালিকায় ছিলেন সারা আলি খান থেকে শুরু করে দীপিকা, রাকুলপ্রীত প্রমুখেরা। সেই কেসই জীবনে আমুল পরিবর্তন ঘটায় রিয়া চক্রবর্তীর। একটা সময় রিয়া চক্রবর্তীর মা জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে কিছু করে ফেলবে হয়তো, সেই ভয় তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে সেই শোক কাটিয়ে এখন ছন্দে ফেরার চেষ্টায় মরিয়া রিয়া চক্রবর্তী।
প্রথম থেকেই রিয়া চক্রবর্তীর কেস হাতে নিয়েছিলেন সতীশ মানসিন্দে, তিনিই সলমন খানকে ক্লিনচিট পাইয়ে দিয়েছিলেন। এবার তাঁর লক্ষ্যে রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, আরিয়ান খানের কেস সাজানো, এই প্রসঙ্গ সামনে আসতেই তিনি দাবি জানাতে চান, এবার খতিয়ে দেখা হক রিয়া চক্রবর্তীর কেসও। সূত্রের খবর অনুযায়ী কোনও মাদকই নাকি পাওয়া যায়নি রিয়া চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে। এই কেস সাজানো হয়েছিল কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটের ভিত্তিতে। কোনও টেস্টও করানো হয়নি রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিকের।
এখানেই শেষ নয় আইনজীবী আরও জানান, যে গত তিন বছর ধরে এই মর্মে একাধিক কেস তৈরি করা হয়েছে। তবে আরিয়ানের কেস সাজানো সেই তথ্য সামনে আসা মাত্রই তিনি জানান, যে প্রতিটা কেস আরও একবার খতিয়ে দেখা উচিত। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন রিয়া। ৫০ দিন হাজতে কাটে তাঁর, আজও সেই স্মৃতি দগদগে…। রয়েছে কালিমাও।