ইন্ডাস্ট্রিতে কথিত আছে, অক্ষয় কুমারের মতো সুশৃঙ্খল মানুষ নাকি দুটো নেই। তিনি নাকি কোনও নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করেন না। স্পর্শ করেন না মাদক। পান করেন না কোনও ধরনের নেশা ধরানো পানীয়। তিনি শরীর সম্পর্কে ভয়ানক সচেতন। সেই অক্ষয় কুমারই নাকি এলাচের বিজ্ঞাপনের মুখ হয়েছিলেন। সেই সংস্থা তৈরি করে তামাক জাতীয় দ্রব্যও। সংস্থার মুখ আরও দুই সুপারস্টার – অজয় দেবগণ ও শাহরুখ খান। ‘ফিট’ অক্ষয়কে সেই সংস্থার বিজ্ঞাপনের মুখ হয়ে উঠতে দেখে বেজায় চটেছেন তাঁর অনুরাগীরা। কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অক্ষয়। তাঁদের কথা ভেবেই বিজ্ঞাপন থেকে সরে এসেছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল খিলাড়ি’। সকলেই জানেন অক্ষয়ের প্রাণের বন্ধু অজয় দেবগণ। বন্ধুর সরে আসার বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন অজয়ও। তিনি জানিয়েছেন নিজের বক্তব্য। কী বলেছেন অজয় –
সম্প্রতি নিজের আসন্ন ছবি ‘রানওয়ে ৩৪’-এর প্রচারে ব্যস্ত অজয়। তিনি প্রচারে গিয়েছিলেন। অজয়কে জিজ্ঞেস করা হয় অক্ষয়ের পদক্ষেপের বিষয়ে। যে পান মশলা প্রস্তুতকারক সংস্থার মুখ অজয়ও। তিনি কী ভাবছেন? জানতে চাওয়া হয়। অজয় বলেছেন, “এটা অক্ষয়ের ব্যক্তিগত বিষয়। অক্ষয় কী করবেন না-করবেন, সেটা তো একমাত্র তিনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন…” তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি তামাক জাতীয় দ্রব্যটি অস্বাস্থ্যকর হয়েই থাকে, তা হলে কেন সেটি বিক্রি করা হয়?
উত্তরে অজয় বলেছেন, “কিছু করার আগে মানুষ তো জেনেই সেটা করেন, কতখানি ক্ষতিকারক জেনেই সেবন করেন। কিছু জিনিস ক্ষতিকারক হয়, কিছু জিনিস হয় না। নাম না করে বলছি, কারণ আমি এখানে সেই প্রচার করতে আসিনি। আমি এলাচের বিজ্ঞাপন করি। বিজ্ঞাপনের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কিছু জিনিস যদি ভুল হয়, তা হলে তার বিক্রি বন্ধ করা দরকার।”
অক্ষয়ের অনুরাগীরা কিছুতেই চান না তাঁদের প্রিয় স্টার এই ধরনের তামাক প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনের মুখ হয়ে উঠুন। ফলে অনুরাগীদের আবেগকে গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়েই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন অক্ষয়, যে তিনি বিজ্ঞাপন ছাড়বেন। এবং তিনি ছেড়েওছেন।
টুইট করে নিজের বিবৃতিতে অক্ষয় লিখেছেন, “সকলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের প্রতিক্রিয়া আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাক সেবন অনুমোদন করি না আর করবও না। আমি সরে এলাম। এই বিজ্ঞাপন করে অর্থ রোজগার করেছি ঠিকই, কিন্তু সম্পূর্ণটাই ভাল কাজের জন্য দান করে দিতে চাই।”
আরও পড়ুন: সৎ মা করিনার মতোই হয়েছেন সারা, কী হয়েছে জানলে অবাক হবেন…
আরও পড়ুন: পিছিয়ে নেই বাংলা; বাঙালি পরিচালক রঞ্জন ঘোষের ছবি ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে
আরও পড়ুন: পিছিয়ে নেই বাংলা; বাঙালি পরিচালক রঞ্জন ঘোষের ছবি ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ ফের আন্তর্জাতিক মঞ্চে