গতকালই এ খবরে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। খবর ছিল ফাদার্স ডে’র ঠিক আগে ছেলে ইশান্ত সুদকে নাকি তিন কোটি টাকার একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন অভিনেতা। শুধু খবরই নয় প্রমাণস্বরূপ ছিল এক ভাইরাল ভিডিয়ো। মার্সেডিজের লেটেস্ট মডেলের চাপতে দেখা যায় সোনু এবং তাঁর ছেলেকে। কালো রঙের নতুন গাড়িতেছিল না কোনও নম্বর প্লেট। ১৮তে পা দিল সোনুর ছেলে ইশান্ত, তাঁকে এমন দামি গিফট দেওয়া নিয়ে তুলোধোনাও করতে শুরু করেন নেটিজেন। সোনু যদিও এ বিষয়ে কোনও কথা বলেননি গতকাল। তবে আজ তিনি আর চুপ করে থাকেননি।
ভাইরাল হওয়া খবরটিকে ভুয়ো বলেছেন সোনু । সোনু বলেন, “এর কোন সত্যতা নেই। আমি আমার ছেলের জন্য গাড়ি কিনিনি। গাড়িটি ট্রায়ালের জন্য আমাদের বাড়িতে আনা হয়েছিল। আমরা একটা টেস্ট রান করতে গিয়েছিলাম। এটাই…আমরা গাড়ি কিনিনি।”
সোনু বিস্মিত হয়ে বলেন, যে ফাদার্স ডের যোগ এল কীভাবে। তিনি বলেন “ফাদার্স ডে বলে কেন আমি আমার ছেলেকে একটি গাড়ি উপহার দেব? ওর কি আমাকে কিছু উপহার দেওয়া উচিৎ নয়? সর্বোপরি দিনটি আমার! আমার সঙ্গে গোটা দিনটি কাটিয়ে আমার দুই ছেলে আমাকে ফাদার্স ডে-তে সেরা যে উপহার দিতে পারে। আমার কাছে ওদের জন্য খুব কম সময়ই থাকে। এখন যখন তারা বড় হচ্ছে, তাদের নিজস্ব জীবন আছে। তাই এক সঙ্গে দিন কাটানো এখন বিলাসিতা যা মনে হয় আমি নিজেই উপার্জন করেছি।”
বিলাসবহুল গাড়ি প্রসঙ্গে এ হেন প্রতিবেদনের নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়ায় সন্তুষ্ট সোনু।
“আমি মনে করি প্রতিবেদনের নীচে দেওয়া নব্বই শতাংশ মন্তব্য অনুকূল ছিল। তারা বলেছিল, আমি যদি গাড়ি কিনে থাকি তাহলে সময় হয়েছে যে আমি নিজের এবং পরিবারের জন্য কিছু করার। এতগুলো মাস ধরে সাহায্যের হাতের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সময় ইতিবাচক এবং সন্দেহাতীত ভালবাসা যা আমি পেয়েছি এটাই আমার জীবনের সেরা উপহার। সন্দেহবাতিকরা যাঁরা আমার বিরুদ্ধে জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করুক না কেন আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা কোনও রকমের সন্দেহ প্রকাশ করবেন না।”