‘আমি একাই পড়ে রইলাম’, তিন ভাইবোনকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন রণধীর
গত ৩০ এপ্রিল লকডাউনের মধ্যেই ভাই ঋষি কাপুরকে হারিয়েছেন রণধীর। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানতে হয়েছে ঋষিকে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হলেন আরও এক ভাই রাজীব।
দুঃসময় যেন আর কাটছেই না কাপুর পরিবারে। পর পর মৃত্যু ভেঙে দিয়েছে মনোবল। কখনও রণবীর-আলিয়ার বিয়ের কথা ভেবে, কখনও বা করিনার আসন্ন সন্তানের কথা চিন্তা করে একে অপরের মন শক্ত করছেন বলিউডি কাপুররা। গত দুই বছরে মা এবং তিন ভাইবোনের মৃত্যু দেখলেন করিনা-করিশ্মার বাবা রণধীর কাপুর। দিন কয়েক আগে ছোট ভাই রাজীবের মৃত্যুর পর কার্যত তাঁর ভেঙে পড়া চেহারার ছবিই উঠে এসেছে।
গত ৩০ এপ্রিল লকডাউনের মধ্যেই ভাই ঋষি কাপুরকে হারিয়েছেন রণধীর। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানতে হয়েছে ঋষিকে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হলেন আরও এক ভাই রাজীব। অথচ ঋষির মৃত্যুর পর লকডাউনের অনেকটা সময় দুই ভাই চেম্বুরে কাপুর বাংলোতে একসঙ্গে কাটিয়েছেন। এখন ফিরে ফিরে আসছে সেই সব স্মৃতিই।
আরও পড়ুন, প্রতিভার প্রথম অ্যালবামে সঙ্গী গুলজার, জাকির হুসেন এবং দীপক পন্ডিত
রাজীবের প্রয়াণের পর এক সাক্ষাৎকারে রণধীর বলেন, “আমি সত্যিই জানি না, কী হচ্ছে। ঋষি বা রাজীবের সঙ্গে একই রকম ঘনিষ্ঠ ছিলাম আমি। মা চলে গেলেন ২০১৮-র অক্টোবরে। দিদি ঋতু ২০২০-র ১৪ জানুয়ারি মারা যায়। তারপর ঋষি। আর এবার রাজীবও। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া আমার আর কোনও উপায় নেই। যা হবার হবেই। এখন এই বাড়িতে আমি একাই পড়ে রইলাম।”
দৃশ্যতই হতাশ শোনায় রণধীরের গলা। তিনি আরও জানান, রাজীবের সেই অর্থে কোনও শারীরিক সমস্যাও ছিল না। ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘুম থেকে ডাকার সময় নার্স দেখেন, রাজীবের নাড়ির গতি অত্যন্ত ধীর। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন, বাঙালির ‘আড্ডা’কে সুরে, ছন্দে বাঁধলেন স্নেহাশিস-রূপসা