রবিবার প্রায় মধ্যরাত। শাহরুখ খানের বিলাসবহুল প্রাসাদপম বাড়ি ‘মন্নত’-এর সামনে এসে থামল এক কালো গাড়ি। বন্ধুর বিপদে পাশে থাকার বার্তা দিতে হাজির হলেন সলমন খান। যদিও পাপারাৎজি ভিড় জমালেও একটি শব্দও ব্যয় না করে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
রবিবারই মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগ উঠেছে। কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামক এক প্রমোদতরণীতে তিনদিন এক মিউজিক্যাল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের সদস্যরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। ক্রে’আর্ক নামক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ফ্যাশনটিভি ইন্ডিয়া।
শনিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই প্রমোদতরণীতে তল্লাশি অভিযান চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সেখানেই উপস্থিত ছিলেন আরিয়ান খান। প্রথমে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে এনসিবি। পরে বিকেলে বয়ান রেকর্ডের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ৪ অক্টোবর অবধি এনসিবির হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরিয়ানকে।
তবে একা আরিয়ান খানই নন, গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানরাও। এরমধ্যে দিল্লির এক বিখ্যাত ব্যবসায়ীর কন্যারাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আরবাজ মারচেন্ট, মুনমুন ধামেচা, নুপুর সারিকা, ইসমাত সিং, মোহাক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত ছোকর ও গোমিত চোপড়া নামক আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সকলেরই ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিয়ানের চশমার বাক্স থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই প্রমোদতরণীতে ধরা পড়ার সময় আরিয়ানের কাছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস ছিল।
যদিও আরিয়ানের তরফে তাঁর কৌঁসুলি সতীশ মানশিন্ডের দাবি, ওই প্রমোদতরীর কোনও টিকিট তাঁর কাছে ছিল না। শুধুমাত্র তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেই তিনি গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরিয়ানের জামিনের আবেদনও করেছেন তিনি।