দুই সন্তানের বাবা অভিনেতা শাহিদ কাপুর। পাঁচ বছর আগে নিজের চেয়ে ১৩ বছরে ছোট দিল্লি ঘরোয়া মেয়ে মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেছিলেন শাহিদ। বিয়ের বছরেই জন্ম নেয় তাঁদের কন্যা মিশা। তারপর জন্ম নেয় পুত্র জৈন। এই দুই তারকা সন্তানকে গোটা দুনিয়া দেখেছে। কিন্তু তাঁদের লাইমলাইটে আসতে দেখা যায়নি কোনওদিনও। অনেকে ভাবেন, তা হলে কি শাহিদ-মীরার সন্তান ‘তারকা সন্তান’ হিসেবে কম জনপ্রিয়। এক্কেবারেই নয়। আসলে সন্তানদের এমনভাবে আড়াল করে রেখেছেন শাহিদ যে, তাদের উপর লাইমলাইট পড়েনি বিনোদন জগতের। কোনও দিনই সন্তানদের মুখ ঢেকে বাড়তি আগ্রহ তৈরি করেননি মানুষের মনে। সে জন্যই হয়তো সন্তানদের আড়ালে রাখতে পেরেছেন।
শাহিদ কাপুর পরিবার নিয়ে বরাবরই খুব সহজ সরল জীবন যাপনই পছন্দ করেন। কোনও সেলেব চাল তাঁর মধ্যে দেখা যায় না। বারে বারে অনবদ্য অভিনয় করে তিনি দর্শক মনে আলাদা এক জায়গা করে নিয়েছে। আজ তিনি বলিউড দাপিয়ে বেড়ালেওএ একটা সময় তিনি নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। তবে ২০১৫ সালে মীরাকে যখন তিনি বিয়ে করেছিলেন, তখন তাঁর বাড়িতে ছিল মাত্র একটি প্লেট ও দুটি চামচ। কেন, সেই প্রসঙ্গে শাহিদ কাপুর জানিয়ে ছিলেন, তাঁর বাড়িটা নতুন ছিল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মীরা অভিযোগ করতে পারত, তার জন্য তিনি কিছুই রাখেননি। ইন্টেরিয়ার এরপর দুজন মিলে স্থির করেছিলেন। বাড়িতে কোনও অতিথি আসলে ওডার করেই খেতে হত।
শাহিদ এমনই সহজ-সরল পন্থায় বিশ্বাসী। তিনি জানিয়েছেন, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি চাকচিক্যে ভরপুর। সেখানে লাইমলাইট এড়িয়ে চলা খুব মুশকিল। তাঁদের মতো তারকাদের দিকে হামেশাই তাক করা থাকে ক্যামেরা। ফলে এ সবের থেকে দূরে থাকা একপ্রকার অসম্ভবই। কিন্তু তিনি সবসময় স্বাভাবিক জীবন কাটাতে চেষ্টা করেন। সন্তানদেরও সেই স্বাভাবিক জীবনের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করেন। তিনি মনে করেন, বলিউডে প্রাচুর্য অনেকবেশি। সেই প্রাচুর্যকে এড়িয়ে চলা অনেকটাই কঠিন। কিন্তু তা না করতে পারলে জীবনের ছোট-ছোট আনন্দ মাটি হবে। এবং তা প্রভাব ফেলবে সন্তানদের বেড়ে ওঠায়। তিনি সেটা কিছুতেই হতে দিতে চান না। এর জন্য স্ত্রী মীরাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাহিদ। তিনি বলেছেন, “মীরার আমার থেকে চাওয়ার কিছু নেই। ওর কোনও প্রত্যাশা নেই সেই অর্থে। কেবলই চায় আমি ওদের একটু সময় দিই। ও সন্তানদের নিজে হাতে মানুষ করছে। ওর অবদান অনেকটাই।”