সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মধ্যে থাকা সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক কতটা তিক্ততায় পৌঁছে ছিল একটা সময় তা প্রকাশ্যে আসতে খুব বেশিদিন সময় নেয়নি। বিশেষ করে প্রকাশ্যে সলমন খান যে ব্যবহার করতেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে, তা আর কারও জানার বাকি ছিল না। খোদ শাহরুখ খানই একবার সাবধান করেছিলেন সলমন খানকে। যার জেরে ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। তবে এ তো সামান্য বিষয়, একবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে মেরে ফেলার কথা বলতেও পিছপা হননি তিনি। ফোন মারফত দেওয়া এই হুমকির জন্য মুহূর্তে বিতর্কের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিলেন সলমন খান। সাল ২০০১-এর ঘটনা। যখন অগাস্ট মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সলমন খান ও ঐশ্বর্য রায় বচ্চনের ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। এক সূত্র মারফত খবর সামনে এসেছিল ছোটা শাকেল ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ছবিতে টাকা ঢেলে ছিলেন।
এও শোনা যা, তাঁর তখনকার প্রেমিকা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে সলমন খান চাপ দিচ্ছিলেন আবু সালেমের শোয়ের পারফর্ম করতে। কেবল তাপ সৃষ্টি নয়, নোংরা ভাষা ব্যবহার, সঙ্গে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। সবটাই ধরা পড়েছিল সেই ফোন ট্যাপিং রেকর্ডিং-এ। ফোনে কথপোকথনের সময় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন সাবধানও করেছিলেন সলমন খানকে। তিনি বলেছিলেন ফোন ট্যাপ করা আছে। কিন্তু কিছুই শোনেননি সেদিন সলমন খান। ফোনে যা যা বলেছিলেন সলমন তা রীতিমত অবাক করেছিলেন সকলকে।
সলমন খান বলেন, ‘সালেমের শো তুমি করছ কি না? আমি জানতে চাই সালেমের শো তুমি করছ না করছ না? ঐশ্বর্য উত্তর দেন, তুমি মদ্যপ অবস্থায় আছো, সলমন খান বিন্দুমাত্র না থেকে একই প্রশ্ন আবারও করেন, তুমি শো করছ কি না, আবু সালেমের শো, হ্যাঁ না না?’ ঐশ্বর্য বলেন, ‘তোমার ফোন ট্যাপে রয়েছে।’ এরপর আরও মেজাজ হারিয়ে সলমন খান বলেন, ‘তুমি বাজে কথা বলছো আমার নামে। আমি আবু সালেম, ছোটা শাকেলকে চিনি, আমি দাউদ ইব্রাহিমকে চিনি, ছোটা রাজেনকে চিনি। আমি গুরু সত্যম ও আন্ডারওয়াল্ডের সকলকে চিনি। আমি যদি তাদের বলি, ঐশ্বর্য আমার সঙ্গে এই ব্যবহার করেছে, ওরা তোমায় মেরে ফেলবে। প্রথমে বাবাকে মারো, তারপর ভাইকে মারো তারপর একে মেরে ফেলো। আমার এই ক্ষমতা আছে। তুমি জানো আমি এটা করতে পারি, এটা বাস্তব, এটা বাস্তব।’
পরবর্তীতে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছিলেন, এই খবর সত্যি। সত্যি দুই স্টারের ফোন তখন ট্যাপ করা হয়েছিল। পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী যখন ঐশ্বর্যের কণ্ঠস্বর নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন উত্তর মিলেছিল, পুরো কণ্ঠস্বরটাই সলমন খানের, মহিলা কণ্ঠস্বর এতটাই কম যে সেভাবে বলা যাবে না। যদিও বিটাউন সূত্রে খবর তা ঐশ্বর্যেরই কণ্ঠস্বর।