আলিয়া ভাট, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যিনি কাজ থেকে দূরে থাকেননি। চুটিয়ে ব্রহ্মাস্ত্র ছবির প্রচার করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম তিন মাস রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি ছবির কাজও করেছেন তিনি। ব়্যাপ আপ করেছিলেন ছবির কাজ সেই সময়ই। অএরপর মাত্র দুই থেকে তিন মাসের ছুটি। আলিয়া ভাট সন্তান জন্ম দেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথাতেই প্রকাশ্যে এসেছিলেন। চুটিয়ে ছবির কাজও শুরু করতে খুব একটা সময় নেননি। তবে মা হওয়ার পর সকলের শরীরেরই আসে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আলিয়ার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। আলিয়া ভাট প্রথম থেকেই এই বিষয় ছিলেন সচেতন। তিনি শরীরের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে নিয়ম মাফিক শরীরচর্চা করা, কোনও কিছুতেই খামতি রাখেননি।
যদিও আলিয়া ভাটের জন্য এই সময়টা ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। একের পর এক ছবির কাজ এখন তাঁর পাইপ লাইনে। তবে রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি ছবির গানের দৃশ্য শুট হওয়া বাকি ছিল। বাকি ছিল আরও বেশ কিছু সিক্যোয়েন্স। সব মিলিয়ে আলিয়া ভাটের পুরোনো লুক ফিরে পাওয়াটা ছবির স্বার্থে ছিল বিশেষ জরুরী। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল আলিয়ার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরের লুক। কীভাবে তিনি সেই চেহারাতে ফিরলেন, তা তাঁর কাছে নিঃসন্দেহে ছিল এক চ্যালেঞ্জের।
আলিয়া ভাট এই চ্যালেঞ্জটা যেভাবে গ্রহণ করেছিলেন, যেভাবে প্রকাশ্যে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন বোল্ড লুকে, এক কথায় তাঁকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন খোদ করণ জোহার। আলিয়ার প্রশংসা করে তিনি নিজে প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, আলিয়ার এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার। এই সাবাসিটা প্রতিটা ক্ষেত্রে অভিনেতারা ঠিক পায় না, এই আক্ষেপও করতে শোনা যায় করণ জোহরকে। নিজের অনবদ্য একাগ্রতা ও অভিনয়ের প্রতি শ্রদ্ধা দিয়ে আলিয়া ভাট বারবার প্রমাণ করেছেন, তিনি কেবলই নেপো কিড নন, নিজের পরিশ্রমে বলিউডে পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন তিনি।