সাল ১৯৯৯। কেরিয়ারের মধ্যগগনে ছিলেন সে সময়। হঠাৎই খবর আসে বিয়ে করছেন মাধুরী দীক্ষিত। যে মাধুরীর প্রেমে আট থেকে আশি… ভুবন ভোলানো হাসির মেয়েটা নাকি কোন এক ডাক্তারকে বিয়ে করে বিদেশ চলে যাবে! অনেকেরই বিষয়টা হজম করতে কষ্ট হচ্ছিল। কেননা তিনি যে মাধুরী। গোটা দেশের কাছে তিনি ‘এক-দো-তিন’, ‘ধকধক গার্ল’ নামে পরিচিত। সে সময় পুরুষকুলের হৃদয়ে মল্লিকা হয়ে বাস করছেন মাধুরী। তাঁকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। মাধুরীর জীবনেও প্রেম এসেছে একাধিক। সেই তালিকায় সঞ্জয় দত্তেরও নাম রয়েছে। সেই মাধুরী কি না ইন্ডাস্ট্রির বাইরের এক যুবককে দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁর গলাতেই বরমাল্য দিলেন! ঈর্ষা… ডঃ শ্রীরাম মাধব নেনেকে ঈর্ষা করতে শুরু করে দেয় ভারতের যুবারা। তারপর এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ধুমধাম করে বিয়ে করলেন মাধুরী।
কিন্তু এত পুরুষ থাকতে কেন নেনেকেই বিয়ে করেছিলেন বলি-কুইন মাধুরী দীক্ষিত? সেই উত্তর তিনি দিয়েছিলেন অনুপম খেরকে, একটি টকশোয়ের অতিথি হিসেবে এসে। মাধুরী জানিয়েছিলেন, সে সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। ভাইবোনদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন নেনেও।
সেই প্রথম দেখা। মাধুরী যে ভারতের অত্তবড় স্টার, তা বিন্দুমাত্র জানতেন না শ্রীরাম। নেনের ভাবলেশহীনতাই মাধুরীকে মুগ্ধ করেছিল। সাধারণ মারাঠি পরিবারের রীতি, ছেলেমেয়েরা মন দিয়ে লেখাপড়া করবে এবং পরবর্তীতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, আইনজীবী হয়ে উঠবে… নেনেও ব্যতিক্রম ছিলেন না। ফলে সিনেমা, অভিনয়, নাচ-গান… এ সবের চেয়ে শতহস্ত দূরে ছিলেন তিনি। ভারতে মাধুরীর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না। এই বিষয়টিই মাধুরীকে মুগ্ধ করে।
ডঃ নেনেকে ভাল লাগে তাঁর। বিষয়টা প্রেম ও বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। তারপর ফিল্মের কেরিয়ারকে সাময়িক ‘গুডবাই’ বলে নেনের সংসার সামলাতে চলে যান বিদেশেই। দুই পুত্র আরিন ও রিয়ান জীবনে আসে তাঁদের। ছেলেরা একটু বড় হওয়ার পর ‘আজা নাচলে’ ছবিতে কামব্যাক করেন মাধুরী। মাসখানেক আগে মুক্তি পায় তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ওয়েব সিরিজ় ‘দ্য ফেম গেম’।
সাক্ষাৎকারে অনুপম খেরকে মাধুরী জানিয়েছিলেন, কেরিয়ার তাঁর কাছে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু পরিবারের চেয়ে বেশি নয়। তিনি ছোট থেকেই সংসার করতে চাইতেন। পরিবার ভালবাসতেন। সেটা মন দিয়ে করেছেন। এখনও পরিবারকেই গুরুত্ব দেন অভিনেত্রী।