Adnan Sami: ‘চাহিদা আছে বলেই হচ্ছে…’, রিমেক ট্রেন্ডের দায় কার ঘাড়ে চাপালেন আদনান
Adnan Sami: গায়ক আদনান সামি জানান, ৯০-এর দশকে অনেকবেশি 'ওরিজিন্যালস' তৈরি হত। তখন এত রিমিক্সের চল ছিল না।
বলিউডের ক্ষেত্রে এখন অধিকাংশ গানেরই একটাই ইউএসপি হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর তা হল রিমেক্স গানের চল। ছবি মুক্তির আগে ছবির গান ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে তুলতেই এই কৌশল বলে একাংশ মনে করে থাকে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে যেমন তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়, তেমনই আবার কিছু ক্ষেত্রে তা ব্যর্থও হয়। রীতিমত সমালোচনার শিকারও হতে হয়। তবে এই ট্রেন্ডে নেই কোনও বিরাম বিশ্রাম। বলিউডের অধিকাংশ গানের ক্ষেত্রেই ছবিটা ঠিক এমনই থাকে। ঝড়ের গতিতে তা ভাইরাল হওয়ার আশাতেই ছবিতে পরিকল্পনা করে এই রিমিক্সের চলকে বজায় রাখতে দেখা যায়।
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে গায়ক আদনান সামি জানান, ৯০-এর দশকে অনেকবেশি ‘ওরিজিন্যালস’ তৈরি হত। তখন এত রিমিক্সের চল ছিল না। কারণ তখন গানকে এক অন্যমাত্রায় রাখা হত ছবির ক্ষেত্রে। এখনও ছবির অঙ্গ হিসেবে গানের গুরুত্ব একই থাকতেও তুলনা মূলকভাবে ‘ওরিজিন্যালস’ অনেক বেশি কম তৈরি হতে দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম কারণ হিসেবে আদনান জানান, প্রযোজকদের চাহিদা। প্রযোজকেরা ‘ওরিজিন্যালস’-এর পাশাপাশি এখন অনেক বেশি ঝুঁকছেন রিমিক্সের দিকে। আর ঠিক সেই কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
যার মূল কারণ হিসেবে আদনান তুলে ধরেন- সকলেই এখন ‘সেফ প্লে’ করার চেষ্টা করছেন ( যার অর্থ গায়ক বোঝাতে চেয়েছেন চটজলদি সাফল্য অর্জনের চেষ্টা বা ঝুঁকি না নেওয়া)। আর সেই কারণেই নতুন নতুন গানের তুলনায় পুরোনো গান পাল্লা দিয়ে নতুন মোড়কে ফিরে ফিরে আসছে। ঝড়ের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠিকই তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই স্থায়ী হয় খুব কম সময়ের জন্যই। আদনানের শেষ গান মুক্তি পেয়েছে দুবছর আগে। তার মাঝে আর কোনও নতুন গান নিয়ে ফিরতে দেখা যায়নি গায়ককে। কেন এই দূরত্ব, সেই প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে রিমিক্সকেই বেশি দায়ী করেছেন আদনান।