ওয়ান্ডার মুন্না। বাংলার বুকে জনপ্রিয় ইউটিউবার। যাঁর প্রতিটা ভিডিয়ো ঘিরেই দর্শক মনে উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হওয়া এই সেলেবের বেড়ে ওঠার কাহিনি মোটেও খুব একটা সুখকর নয়। সামান্য একটা ফোনকে অস্ত্র করে কীভাবে তিনি এতটা এগোতে পারলেন, দিদি নম্বর ১-এর সেটে এসে সেই কাহিনি শুনিয়েছিলেন ওয়ান্ডার মুন্না। শো-এর সঞ্চালক রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে কী জানালেন ইউটিউবার? ছোট থেকেই অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল। স্কুল-কলেজে এই সকল বিষয় তিনি অংশগ্রহণ করতেন। এরপর কলেজে গিয়ে তিনি জানতে পারেন ইউটিউবেও ভিডিয়ো তৈরি করা যায়। হাতে একটি ফোন আর তাতে ক্যামেরা থাকলেই হবে। খুব সহজ সরল ভিডিয়ো বানিয়ে সেটা খুব সহজেই তুলে দেওয়া যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটা দেখে মানুষ হাসে, কাঁদে, কমেন্ট করে, সাবস্ক্রাইবও করে। এটা দেখে বেশ ভাল লাগল তাঁর। মানুষ পছন্দ করে। মুন্না বলেছিলেন, “এরপর হঠাৎই বাবা চলে গেলেন। পরিবারের দায়িত্ব আমার কাঁধে। কীভাবে সবটা সামলাব! বহু চাকরির পরীক্ষা দিয়েছি, বহু ইন্টারভিউ দিয়েছি, সেভাবে কিছুই জোটেনি। এভাবেই কাটতে থাকে দিন। নিজেই বুঝতে পারছি না কী করব।”
এরপর কীভাবে সবটা গুছিয়েছিলেন তিনি, মুন্না বলেন “বাড়িতে বসেই কিছু টুক-টাক লিখতাম। এমনই সময় মনে হল, একটা ভিডিয়ো ছেড়ে দেখি না, নিজের একটা চ্যানেল বানিয়ে দেখি না কী হয়…। আমার বাড়ির ডাকনাম মুন্না। তার সঙ্গে ওয়ান্ডারটা যোগ করে দিলাম। হল ওয়ান্ডার মুন্না। আর এই নামে নিজের একটা ভিডিয়ো বানিয়ে নিলাম। আমার প্রথম ভিডিয়ো ছিল মা ও মেয়ে সেলুনে গেলে কী ধরনের কথোপকথন হয়।”
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ভিডিয়োর বিষয়গুলো কোথা থেকে মাথায় আসে! উত্তরে মুন্না জানিয়েছিলেন, আসে পাশে তিনি যাই দেখেন, তা দিয়েই বানিয়ে ফেলেন ভিডিয়ো। তিনি আরও জানান, পরিবারের সকলেই প্রাথমিকভাবে উদ্বেগ দেখিয়েছিল, যে তিনি কী করছেন, কেন করছেন! এভাবে কিছু আদৌ তিনি করে উঠতে পারবেন কি না? যদিও তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পিছপা হননি। শুনে বেজায় খুশি হয়েছিলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।