Badshah Controversy: ‘সব কৃতিত্ব নিজেই নিয়েছে’, বাদশার উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন ‘কালা চশমা’র আসল গায়ক

Badshah Controversy: তবে শুধু অমরই নন, 'কালা চশমা' অধ্যায়ে নিজেকে উপেক্ষিত হিসেবে দাবি করেছেন আরও এক জন। তিনি গানটির কথা লিখেছেন। নাম অমৃক সিং শেরা। বাড়ি পঞ্জাব।

Badshah Controversy: 'সব কৃতিত্ব নিজেই নিয়েছে', বাদশার উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন 'কালা চশমা'র আসল গায়ক
বাদশার উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন 'কালা চশমা'র আসল গায়ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 8:15 AM

বিশ্ব দুলছে ‘কালা চশমা’র তালে। ডেমি লোভ্যাটো থেকে শুরু করে আফ্রিক্যান নাচের দল– বাদ নেই কেউই। কাঁচা বাদামের পর এই গানও হয়েছে ভাইরাল। বিয়ে বাড়ি থেকে জন্মদিন… ক্যাটরিনা ও সিদ্ধার্থের উপর আধারিত এই গানই এখন টক অব দ্য টাউন। অথচ গানটির গায়ক অমর আরশির বিস্ফোরক অভিযোগ, গানের এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই বাদশা নিজেই নিয়ে নিচ্ছেন। ১৯৯১ সালে প্রথম মুক্তি পাওয়া এই গান ছিল যুগের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ২০১৬ সালে সেই গানের পুনর্নির্মাণ করেন বাদশা। অমরকে দিয়েই গানটি গাওয়ানো হলেও তাতে যোগ করা হয় বাদশার র‍্যাপ আর নেহা কক্করের স্বর। কিন্তু অমরের অভিযোগ কোনও সাক্ষাৎকারেই তাঁকে কৃতিত্ব দেওয়া তো দূরঅস্ত তাঁর নামটাও উল্লেখ করেননি বাদশা।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “নিজেই সব কৃতিত্ব নিয়ে নিয়েছে। আমার সঙ্গে যা ওর ভাগ করার কথা ছিল। যখন গানটি প্রথম মুক্তি পায় তখন আমি ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষের থেকে ফোন পেয়েছিলাম। কিন্তু কিন্তু ধীরে ধীরে দেখলাম সাফল্য আমার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। বাদশাই সেই সাফল্যের একা ভাগীদার হয়ে গেল।” তিনি এও জানান, গানের ‘রয়ালটি’ কী তা তিনি জানতেন না। তাই যখন রিমিক্স বের হয় তখন তা থেকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তিনি বিশেষ লাভবান হননি। গায়ককে যথাযথ কৃতিত্ব না দেওয়ার ঘটনা অবশ্য বাদশার সঙ্গে আগেও ঘটেছে। ২০২০ সালে মুক্তি প্রাপ্ত গান ‘গেন্দা ফুল’-এর কথা মনে পড়ে? রতন কাহার রচিত ওই গানের রিমেক করেছিলেন বাদশা। যদিও প্রথমে তাঁর নাম কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি নেটিজেনদের নজরে পড়তেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরপর অবশ্য রতন কাহারকে ফোন করে ব্যাপারটি মিটিয়ে নেওয়া চেষ্টা করা হয় বাদশার তরফে। এবার প্রায় একই অভিযোগ এই গায়কেরও।

তবে শুধু অমরই নন, ‘কালা চশমা’ অধ্যায়ে নিজেকে উপেক্ষিত হিসেবে দাবি করেছেন আরও এক জন। তিনি গানটির কথা লিখেছেন। নাম অমৃক সিং শেরা। বাড়ি পঞ্জাব। এই মুহূর্তে পঞ্জাব পুলিশের প্রধান কনস্টেবল পদে আসীন তিনি। তাঁকে কেউ চেনে না। কেউ জানেও না তাঁর কথা। অথচ ৯০’র দশকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে এই গানের লিরিক্স লিখেছিল কিশোর অমৃক। নবম শ্রেণীতে পড়তেন তখন। বহু জনের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছেন তাঁর এই কথায় যেন সুর দেওয়া হয়। কেউ কথা রাখেনি, যেমনটা রাখে না অনেক ক্ষেত্রেই। তবু কেউ কেউ তো রাখে। রেখেছিলেন অমর আরশি। গেয়েছিলেন তাঁর এই গান। এরপর পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বছর। সাল ২০১৬। ‘বার বার দেখো’ ছবিতে ব্যবহৃত হয় সেই গান। কিন্তু কোথায় অমৃক? কোথায়ই বা তাঁর প্রাপ্য সম্মান। গলায় হাহুতাশ ঝরে পড়ছে মাঝবয়সী ওই মানুষটারও। তাঁর কথায়, “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে কেউ একজনও মিউজিক লঞ্চের সময় আমার ডাকল না। ছবির স্ক্রিনিংয়েও কেউ ডাকেনি।” একদিকে যখন কালা চশমা জ্বরে মাতোয়ারা বিশ্ব, তখন গানটির প্রধান দুই স্তম্ভের গলাতেই হতাশা! বাদশার উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ।