জন্মদিনে ভক্তদের মুখে হাসি নেই। নেই কোনও উচ্ছ্বাসও। পরিবারেরও আজ মন খারাপ। মানুষটাই যে নেই। জীবিত থাকলে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কেকে’র বয়স হতো ৫৩ বছর। কিন্তু ৩১মে’র অভিশপ্ত দিন যে চাইলেও ভুলতে পারেনি তামাম বিশ্ব। বাবার জন্মদিনে অন্যান্য বার মজা করতেন মেয়ে। বাড়ি হেসে উঠত আনন্দে। তবে আজ সবটা আলাদা। বাবাই নেই, তার জন্মদিনের আর কীসের উদযাপন। বাবাকে নিয়ে এক আবেগঘন পোস্ট করলেন কেকে’র মেয়ে তামারা। যে পোস্ট পড়লে আপনারও চোখে জল চলে আসবে।
তামারা লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন বাবা। আজ তোমার আরও ৫০০ বার বেশি মিস করব। মিস করব তোমার সঙ্গে ঘুম থেকে ওঠা। মিস করব তোমার সঙ্গে কেক খাওয়া। ওই উপরে আজ নিশ্চয়ই যত খুশি কেক খাচ্ছ। চিন্তা কোরো না। আক মাকে কিছুতেই কষ্ট পেতে দেব না। এত বিরক্ত করব যে মা যাতে রেগে যায়। আজ রাত্রে গান গাইব। তোমার জন্য। সব তোমার জন্য বাবা”। ৩১ মে দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে ঘটে এক নজিরবিহীন ঘটনা। গুরুদাস কলেজের কনসার্ট ছিল সেদিন। হলে যে সংখ্যক লোক ধরার কথা, তার চেয়েও অনেক বেশি লোক হাজির ছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, হলের এসি কাজ করছে না। তার উপর তিল ধরানোর জয়গা ছিল না। সেই কনসার্টে পারফর্ম করতে মুম্বই থেকে উড়ে এসেছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, অর্থাৎ কেকে। প্রচণ্ড গরমে একটানা পারফর্ম করার পর অসুস্থ কেকে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন সে দিনই। শোকসব্ধ হয়ে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। এই মৃত্যু কি কিছুতেই মেনে নেইয়া যায়?
১৯৯১ সালে স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ প্রণয়ের পর বিয়ে হয় কেকের। তাঁদের দুই সন্তান। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কও বেজায় ভাল। দুই তরফেই ছিল না কোনও গসিপ, ছিল না কোনও কালো দাগ। কিন্তু হঠাৎই ঝড় ওঠে পরিবারে। যে ঝড় যেন এক মুহূর্তে নড়িয়ে দিয়েছে গোটা পরিবারটিকেই।