Lopamudra Mitra: ‘গা বাঁচানোর আরেক নাম সহ্য , আর হচ্ছে কি?’, ফিরহাদ হাকিমকে খোলাচিঠি লোপামুদ্রার

TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

Apr 21, 2023 | 11:55 AM

Lopamudra Mitra: বাংলার এখন প্রায় সব জেলাই প্রৌঢ়। অর্থাৎ চল্লিশের কোঠা পেরিয়েছে প্রায় সকলেই। দহন-জ্বালায় কাহিল বাংলা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা আগেই দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা।

Lopamudra Mitra: গা বাঁচানোর আরেক নাম সহ্য , আর হচ্ছে কি?, ফিরহাদ হাকিমকে খোলাচিঠি লোপামুদ্রার
ফিরহাদ হাকিমকে খোলাচিঠি লোপামুদ্রার

Follow Us

 

বাংলার এখন প্রায় সব জেলাই প্রৌঢ়। অর্থাৎ চল্লিশের কোঠা পেরিয়েছে প্রায় সকলেই। দহন-জ্বালায় কাহিল বাংলা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা আগেই দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। দক্ষিণ ও উত্তরের বেশিরভাগ জেলাতেই তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৪ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহের বিষাক্ত ছোবলে নাভিঃশ্বাস উঠছে রাজ্যবাসীর। এমতাবস্থায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অনুপম রায়, সবার কাছেই এক আর্জি জানালেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “সচারচর ট্যাগ করি না। কিন্তু করলাম। গরমটা কি সহ্য হচ্ছে ?? হবে?? আমার পাড়ায় ফুটপাথের ধারে যে বড় গাছগুলো আছে, বড় বা ছোট ঝড় এলে কেউ বাঁচবে না, কারণ, শেকড় মেলার জায়গা নেই, ঘাড়ের কাছে বড় বড় বাড়ি, ডালপালার ব্যালেন্স কমে যাচ্ছে। যে গাছগুলো গত বছর ঝড়ে বা আমফান, ইয়াশে পড়ে গেছে, তাদের জায়গায় আমরা নতুন কোন গাছ বসাই নি, কিছু গাছ বসালেও তার যত্ন নিইনি। লেক, সার্দান অ্যাভনিউ বিরাট অঞ্চল জুড়ে অনেক অনেক গাছ আজ আর নেই। দক্ষিণ কলকাতার লেকে কি জঙ্গল বানাতে পারি না আমরা ?” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আমার এলাকাটুকু নিয়েই আপাতত ভাবছি, স্বার্থপরের মতো। কিছু কি করা যেতে পারে ?? সবাই মিলে?? গা বাঁচানোর আরেক নাম সহ্য , আর হচ্ছে কি?” লোপামুদ্রা যে প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে সম্মতি জানিয়েছেন অনেকেই। তাঁর এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেন কিনা, এখন সেটাই দেখার।

প্রসঙ্গত, গরমে পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থা মারাত্মক। মার্চের শেষে কালবৈশাখীর জেরে শেষ বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর আর বৃষ্টি হয়নি। এদিকে এপ্রিলের গোড়া থেকে ক্রমাগত তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে সোমবারই বাঁকুড়া জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলে ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাল্লা দিয়ে নামছে মাটির নীচের জলস্তর। ফলে জেলার প্রায় সর্বত্রই শুরু হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। প্রতিদিনই বেলা বাড়তেই বাড়িতে ঢুকে পড়ছেন জেলার মানুষ। নেহাৎ বাধ্য না হলে বেলা দশটার পর রাস্তায় নামছেন না বাঁকুড়ার মানুষ। ফলে বেলা দশটার পর থেকেই ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। প্রবল গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই। হাওড়া, বর্ধমান, হুগলির অবস্থাও কার্যত একই রকম। এই গরম শেষ বোধহয় ২০১৬ সালে দেখেছিল বাংলা। সেবারও এপ্রিলের শেষেই তাপমাত্রা চড়েছিল চল্লিশের ওপর। কেবল দক্ষিণ নয়, উত্তরের জেলায় কোনওদিনও তাপমাত্রা ৪০ ছাড়াবে, তা ভাবা দায়!

মালদা শহরে ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। জেলার অন্যত্র বিশেষ করে বামোনগোলা ব্লকে ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল জনজীবন। চলছে তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহের ফলে প্রভাবে ধান থেকে ভুট্টা, জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ফসল। গাছ বর্নহীন হয়ে যাচ্ছে, চাষাবাদে আর্থিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়ছে চাষিদের। এখন সবার শুধু একটাই প্রার্থনা, দাবদাহ থেকে মুক্তি পেয়ে আবার সুজলা হোক বঙ্গ।

Next Article