প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক ও কিংবদন্তি গায়ক খইয়ামের স্ত্রী জগজিৎ কউর প্রয়াত হলেন ৯৩ বছর বয়সে। শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। গত ১৫ দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন জগজিৎ। সেখানে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছিল।
খইয়ামের ম্যানেজার রাজ শর্মাই ছিলেন ছোট্ট পরিবারটির পরম আত্মীয়। তিনিই শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন জগজিতের। বলেছেন, “শেষ ১৫ দিন ভাল কাটছিল না তাঁর। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছিল। শরীর২ সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছিল ক্রমশ। ফলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল আমাদের। আজ সকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।”
খায়াম তাঁর মৃত্যুর আগে রাজকে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, স্ত্রীর প্রয়াণে তিনিই যেন সন্তানের মতো সমস্ত প্রথা পালন করেন। রাজ করলেনও তাই। চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলেন, “১৯৭৫ সালে খইয়াম সাহেব আমাকে মুম্বইতে নিয়ে এসেছিলেন। আমি আজ যতটুকু হতে পেরেছি, সবটাই ওই মানুষটির জন্য। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তাঁর যদি কিছু হয়ে যায়, আমি যেন জগজিৎজির খেয়াল রাখি। এত বছর ধরে সেই কথাই রেখে এসেছি। প্রমিস ভাঙিনি।” শেষকৃত্যে অংশ নিতে এসেছিলেন ভজন গায়ক অনুপ জালোটা ও উত্তম সিং। তাঁরা একই আবাসনে থাকেন।
কাকতালীয় ঘটনা, ২০১৯ সালে অগাস্টের ১৯ তারিখ হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছিল খইয়ামের। তাঁর স্ত্রী জগজিৎও চলে গেলেন ওই একই মাসে, মাত্র ৩দিন আগে। তাঁদের এক সন্তানও ছিল। ২০১২ সালে ছেলের মৃত্যু হয়। বাবা-মা হিসেবে সন্তান হারানোর শোক পেয়েছিলেন। শোকের পর শোক আসে জগজিতের জীবনে। ২০১৯ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর বেঁচে থাকার সমস্ত ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেছিলেন গায়িকা। হাসপাতালেও তাঁর চোখ বেয়ে নেমে আসত জল। আবেগতাড়িত হয়ে জানিয়েছেন রাজ।
‘সগুন’ ছবির ‘তুম আপনা রাঞ্জো গম আপনি পরেশানি’ গানটি গেয়ে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন জগজিৎ। ‘বাজার’, ‘কভি কভি’, ‘উমরাও জান’-এর মতো ছবিতেও প্লেব্যাক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: টেলিভিশনের পর্দায় সোনু সুদ; থাকছে ভারতের আশ্চর্য ঘটনা নিয়ে নানা গল্প
আরও পড়ুন: বাড়ি ঢুকতেই পরমব্রতকে আদরে ভরিয়ে দিল কে? অভিনেতা বললেন, ‘বেশি বেশি হচ্ছে!’