প্রীতম দে: দেবতাকে পুজো করা হয়। আর যখন মানুষই দেবতা হয়ে ওঠেন ?
শ্রীরামকৃষ্ণ পুজো করেছিলেন সহধর্মিনী সারদাদেবীকে। দুর্গাপুজোয় কুমারী পুজোর কথা সবাই জানি। এবার দেবতাদের আসনে চিকিৎসকদের বসিয়ে পুজো করা হলো। একটি জায়গায় নয় দুটি জায়গায়। বাগুইআটির বন্ধুমহল ক্লাব। শ্যামবাজারের সেরাম থ্যালাসেমিয়া ফেডারেশন। প্রথম দুর্গাপুজো করে বিখ্যাত। আর দ্বিতীয় খেলায় শিশুদের নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করে পরিচিতি পেয়েছে সমাজে।
পুজোর ডালায় সাজানো রয়েছে ডাক্তারি সরঞ্জাম। হোম যজ্ঞ আয়োজন করা হয়েছে।বাগুইআটির বন্ধুমহল ক্লাবে পুজো পুজো ভাব। হোম যজ্ঞ পুরোহিতের মন্ত্র পাঠ। হাজির ক্লাবের মহিলা সদস্যরাও। দুর্গাপুজোর সঙ্গে সম্মান জানালো লেডি ডক্টর ঝুমা শিকদারকে। ক্লাব সম্পাদক পার্থ সরকার বললেন, “দশ হাতে সামলাচ্ছেন। পুজো করা হলো তাদের অস্ত্রশস্ত্র। মানে স্টেথোস্কোপ প্রেসার মাপার যন্ত্র সিরিঞ্জ ইত্যাদি।”
আরও পড়ুন- National Doctor’s Day: মিস্টার এন্ড মিসেস মুন্নাভাই ভাইরাল
শ্যামবাজারে সেরাম থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি আয়োজনে তিন চিকিৎসককে আরতি করা হলো। উলু দিয়ে বরণ করলেন মহিলারা। অক্সিজেন সিলিন্ডার এর উপরেও বেল ফুলের মালা। বাদ গেলোনা অক্সিমিটার অন্য সরঞ্জামও । অটোমেটিক ঢাকের সঙ্গে এই উদযাপনে পুজো দেখতে হাজির ছিল থ্যালাসেমিক বাচ্চারাও। ১০ বছর ধরে পুজো করছেন পুরোহিত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে চামর ঘন্টা নিয়ে তিনি জানালেন, শ্রীরামকৃষ্ণ পূজা করেছিলেন সহধর্মিনী সারদা কে। আর আমরা ডাক্তারদের দেবতার আসনে বসিয়েছি সাধে নয়।”
সেরাম থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির কর্ণধার সঞ্জীব আচার্য বললেন , “নেহাত শো অফ করার জন্য নয় এটা মন থেকে এসেছে আমাদের। তাই প্রতীকী পুজো।”ডঃ ভাস্করমণি চট্টোপাধ্যায়, ডঃ প্রভাত ভট্টাচার্য, ডঃ দেবাশিস ঘোষ তিন চিকিৎসকই এককথায় বললেন জীবনে ভাবিনি এমন সম্মান পাব।