কেন লতা মঙ্গেশকর সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গেলেন, এই ব্যক্তিগত অধ্যায় নিয়েও প্রশ্ন হাজার। কেউ বলেন রাজার ছেলের সঙ্গে প্রেমের করুণ পরিণতি, আবার কেউ বা বলেন সংসারের দায়িত্ব পালনের জন্যই বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি তাঁর। সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণের পরেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলচে চর্চা। এরই মধ্যে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহাও তুললেন বিয়ের প্রসঙ্গ।
তাঁর কথায়, “পরিবারের জন্য অনেক কিছু করেছেন তিনি। নিজের বিয়ে্র পর্যন্ত বলিদান দিয়েছিলেন”। কীসের বলিদান? পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়তেই শত্রুঘ্নর বক্তব্য, “আমাদের এইটুকুই বলা হয়েছিল”। গত রবিবার ৯২ বছর প্রয়াত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু ব্যক্তিগত স্তরে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহার সম্পর্ক ছিল খুব মধুর। সে কথা মনে পড়তেই তিনি বলেন, “আমায় খুব পছন্দ করতেন। ফোনেও কথা হত। উনি খুব ভাল রাঁধেন। আর আতিথেয়তাও ছিল মুগ্ধ করার মতো। ভাল লাগলে প্রশংসাতেও ছিল না কার্পণ্য, এমনটাই জানিয়েছে শত্রুঘ্ন। তিনি আরও যোগ করেন, “ক্রিকেটের প্রতি ছিল অসম্ভব টান। যোগাযোগও রাখতেন নিয়মিত। মনে আছে আমার ছেলের বিয়ের সময় শুধু আমার ছেলে বৌমাকে নয়, পরিবারের সবাইকে উপহার দিয়েছিলেন নতুন পোশাক।
প্রিয় দিদি যে আর ফিরবে না, তা যেন কিছুতেউ বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁর। সব শেষে করেছেন একটিই প্রশ্ন। বলেছেন, ” সবাই বলে দ্য শো মাস্ট গন । কিন্তু তাঁকে ছাড়া তা কী ভাবে সম্ভব? আমি তো ওঁর সমকক্ষ হিসেবে কাউকেই দেখতে পাই না।” ৮ জানুয়ারি করোনা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরু থেকেই তাঁকে রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ১০-১২দিন সেখানেই রাখা হবে। করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে লতাকে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কোনও ঝুঁকিই নিতে চায়নি পরিবার। তাই শুরু থেকেই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন লতাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ৯২ বছরের দেহ শিবাজি পার্কে বিলীন হয়ে গিয়েছে তাঁর পার্থিব দেহ।
আরও পড়ুন- Mithun-Prabhas: প্রভাসের সঙ্গে জোর টক্করে জড়ালেন মিঠুন চক্রবর্তী নেপথ্যে কোন কারণ?