The Kerala Story: দর্শকমহলে ঝড়, মাত্র ৯ দিনেই ১০০ কোটির ক্লাবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

Box Office: সেন্সর থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর কীভাবে এই ছবিকে কেন নিষিদ্ধ  ঘোষণা করা হল? জানতে চেয়েছিলেন অনেকেই। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল সেই খবর। তখনই ৩০ কোটি পার করেছিল এই ছবি।

The Kerala Story: দর্শকমহলে ঝড়, মাত্র ৯ দিনেই ১০০ কোটির ক্লাবে 'দ্য কেরালা স্টোরি'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2023 | 4:55 PM

দ্য কেরালা স্টোরি মুক্তি পাওয়ার পরই ঝড় তোলে বিভিন্ন মহলে। বাংলা থেকে ছবি নিষিদ্ধ হওয়ার পর তা নিয়ে চর্চাও তুঙ্গে। একের পর এক রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সিনেমা বিশেষজ্ঞ, এই নির্দেশের পক্ষে বিপক্ষে মুখ খুলেছিলেন বারবার। তোলপাড় হয়েছিল গোটা বাংলা। সেন্সর থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর কীভাবে এই ছবিকে কেন নিষিদ্ধ  ঘোষণা করা হল? জানতে চেয়েছিলেন অনেকেই। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল সেই খবর। তখনই ৩০ কোটি পার করেছিল এই ছবি। আমেরিকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। এবার এই ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলল। ১০০ কোটি পার করল মাত্র ৯ দিনেই।

মোট আয় এখনও পর্যন্ত ১১২ কোটি টাকা। দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে দর্শকদের মনে উত্তেজনার পারদ প্রথম থেকেই ছিল তুঙ্গে। ছবিকে ইতিমধ্যেই করম মুক্ত করেছে যোগী রাজ্য। এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেকতা তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীও। দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে পরিচালক তথা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকেই সব জায়গায় টার্গেট করা হয়। আমাদেরই সব জায়গায় নানা ধরনের বিষয়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।” এরপরই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল বিভিন্ন মহলে। অন্যদিকে রুদ্রনীল ঘোষও চুপ থাকেননি। রাজ্যের শাসক দলের বিরোধী দলকর্মী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ পরিচালকের পক্ষে সুর টেনে তিনি বলেন, রাজ চক্রবর্তীর মতো অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা শিরদাঁড়ার দামটুকু জানেন। তাঁরা যে তাঁদের দলে ব্যবহারের শিকার হয়েছেন, তা মানতে মানতে শেষ পর্যায় এসে পৌঁছিয়েছেন। তাঁর তাঁর মুখ দিয়ে মনে হয় কথাগুলো বেরিয়েছে। আর এ কথা তো সত্যি।

প্রসঙ্গত রাজ্যের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমাটির প্রদর্শনী। আর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়েছিল জোড়া জনস্বার্থ মামলা। কেন সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন অনিন্দ্য সুন্দর দাস। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। এখন দেখার এই মামলার জল ঠিক কতদূর গড়ায়।