Suman-Sujan Mother Death: মাকে হারালেন লাল এবং নীল, বেডসোর হয়েছিল ৮০ বছরের আরতী দেবীর

Arati Mukhopadhyay Passed Away: লাল তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, "মা... আমাকে কেবল স্মৃতি দিয়ে চলে গেলেন। আরতী মুখোপাধ্যায় ২৭.০৬.১৯৪১ থেকে ১৫.১১.২০২২।"

Suman-Sujan Mother Death: মাকে হারালেন লাল এবং নীল, বেডসোর হয়েছিল ৮০ বছরের আরতী দেবীর
মা-হীন লাল-নীল...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2022 | 6:10 PM

মাতৃবিরোগ হয়েছে নীল এবং লাল। মা আরতী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায় এবং পরিচালক-নাট্য়ব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্য়ায়। সেই সঙ্গে স্ত্রীকে হারালেন প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব অরুণ মুখোপাধ্যায়। আরতীদেবীর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘ রোগভোগে ভুগছিলেন তিনি। সম্পূর্ণভাবে বিছানায় শোয়াই ছিলেন। পায়ের চোট পাওয়ার পর দীর্ঘদিন বিছানায় শয্য়াশায়ী ছিলেন তিনি। তাঁর সারা শরীরে বেডসোর (শয্য়াক্ষত) হয়ে গিয়েছিল। মাকে হারিয়ে খবরটি সোশ্য়াল মিডিয়ায় একদিন পর পোস্ট করেছেন লাল। তিনি লিখেছেন, “মা… আমাকে কেবল স্মৃতি দিয়ে চলে গেলেন। আরতী মুখোপাধ্যায় ২৭.০৬.১৯৪১ থেকে ১৫.১১.২০২২।

অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায় ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “মা, তোমার জন্য….
তুমি না থাকলে চেতনা, চেতনা হত না।
তোমার অবদান তুলনাহীন। তাই তোমাকে স্মরণ করেই মঞ্চে নামব, চেতনা ৫০ তোমাকে উৎসর্গ করলাম, মা।
ভালো থেকো
পাশে থেকো ওপার থেকেই….

স্ত্রীহারা অরুণ কথা বলেন TV9 বাংলার সঙ্গে। তিনি বলেছেন, “অনেকদিন থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় এবং যন্ত্রণায় ভুগছিলেন আমার স্ত্রী। বেডসোর হয়ে গিয়েছিল তাঁর গোটা শরীরে। তার আগে পায়ে ব্যথা পেয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। তবে এই বেডসোরই ওঁকে কাবু করে দিয়েছে। শয্যাক্ষত সারাতে সবরকমের প্রচেষ্টা চালিয়েছি আমরা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। শেষে মানুষটাকে আমরা হারালাম চিরতরে।”

অরুণ জানিয়েছিলেন, পায়ে আঘাত লাগার পর নানাভাবে হাঁটানোর চেষ্টা করা হত অরুণকে। কিন্তু তিনি কিছুতেই হাঁটতে চাইতেন না। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন বেডসোর হয়েছিল। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।

চিকিৎসকেরা বলেন, বেডসোর মারাত্মক সমস্যার। রোগী যদি নড়াচড়া না করে দিনের পর-দিন বিছানায় একভাবে শুয়ে থাকেন, তখন তাঁর বেডসোর হয়। চামড়া পচতে শুরু করে। সেই পচন মাংসেও ছড়িয়ে যায়। শরীরের সেই অংশ অসাড় হতে শুরু করে এবং অন্যান্য অংশে ছড়াতে থাকে। দেহের পচন ধরা স্থানে মেরামত করা সম্ভব হয় না। এতে সমস্যা আরও বাড়ে। রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। ঠিক যেমনটা ঘটেছে আরতীদেবীর ক্ষেত্রে।

অরুণ জানিয়েছেন, আরতী দেবী স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। একটি স্কুল চালাতেন তিনি। কলকাতায় চলে আসার পর তিনি আর শিক্ষকতা করেননি।