মহামারি কম-বেশি সবার জীবনেই প্রভাব ফেলেছে। আর এই মহামারির ফলে প্রায় সব ধরনের পেশাই নতুন করে নিজেকে খুঁজে নিচ্ছে অথবা নিতে বাধ্য হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। শিল্প ও পেশা একে-অপরের পরিপূরক। কিন্তু ডিজিটাল মাধ্যমে শিল্পের কপিরাইট লঙ্ঘন থেকে ই-জালিয়াতি বা ই-ফ্রড অথবা যৌন হেনস্থা, শিল্পীদের শিকার হতে হয় অনেককিছুর। পরিবর্তে শিল্পীদের আইনি রক্ষাকবচের বিষয়টি অধিকাংশক্ষেত্রেই থেকে যায় অবহেলিত। শিল্পীদের আইনি সাহায্য করতে এবার যাত্রা শুরু করল www.unmute.help।
২০২০ সালে ক্রী ফাউন্ডেশন এবং দ্য ভিজুয়্যাল আর্টস গ্যালারি, ইন্ডিয়া হ্যাবিটাট সেন্টার (নয়াদিল্লি)-র ‘আর্টস অ্যান্ড দ্য ল সিরিজ’ এবং ২০২১ সালে তার বঙ্গীয় সংস্ককরণ শিল্পকলা ইবাম আইনকে সামনে রেখেই শুরু হল আনমিউট। ক্রী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. আর্শিয়া শেঠি, পারফরমার-আর্টস ম্যানেজার পারমিতা সাহা এবং নৃত্যশিল্পী-আইনজীবী সোমাভা বন্দোপাধ্যায়ের যৌথভাবে নির্মিত এই উদ্যোগের নাম ‘আনমিউট- অ্যা পারফর্মারস গাইড টু স্পিক আপ- ল, রাইটস, রিসোর্স’।
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিতে হওয়া যৌন হেনস্থা বা এই জাতীয় সমস্যাগুলির সমাধান করার জন্য একটি সুরক্ষিত ও নির্ভীক মাধ্যম গড়ে তোলা। অন্য দিকে, পারফর্মিং আর্টস সংস্থাগুলির জন্য নেটওয়ার্কিংয়ের একটি পরিসরও তৈরি করবে এই আনমিউট। এ ছাড়াও এই ওয়েবসাইটে রয়েছে শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন ও অন্যান্য গবেষণার উপাদান সম্পর্কে অডিওভিজুয়াল ডকুমেন্টেশন ও হ্যান্ডবুক। আনমিউট সংশ্লিষ্ট শিল্পীদের মধ্যে আলোচনা শুরু করার জন্য একটি ফোরাম হিসাবেও কাজ করবে।
নথিপত্র বা অডিওভিজুয়াল ডকুমেন্টেশন থেকেও যদি কোনও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না হয়, তাহলে থাকছে উপদেষ্টা-মণ্ডলী। শিল্প ও আইন উভয় ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা থাকবেন, যেখানে তাঁরা কাজ করবেন ‘সাউন্ডবোর্ড’ হিসাবে। এই সাউন্ডবোর্ডে থাকবেন অধ্যাপক শমিক সেন, অধ্যাপক কবিতা সিংহ এবং সমাজকর্মী উর্মি বসু।
এই বিষয়ে আর্শিয়া শেঠি বলেন, ”আর্টস ও আইন-এর বিষয়টি মূলধারায় আলোচনা হওয়া খুব জরুরী।” তাই ভারতের শিল্প ক্ষেত্রের চাহিদার জন্য তথ্য, রেফারেন্স, আইন ও নিয়মকানুনের গাইড, গবেষণা সামগ্রী, বিশেষজ্ঞদের কথোপকথনের অডিওভিজুয়াল ডকুমেন্টেশনের একটি স্থায়ী আশ্রয়স্থল হল আনমিউট।