ক্রমশ জটিল হচ্ছে অ্যাকাডেমির মঞ্চে ঘটে যাওয়া ক্রিস রক ও উইল স্মিথের চড়কাণ্ড। ক্ষমা চেয়েই ক্ষান্ত নন, এবার অ্যাকাডেমির সদস্যপদ থেকেও পদত্যাগ করলেন অভিনেতা উইল স্মিথ। অ্যাকাদেমি তরফেও স্মিথের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। যদিও সংস্থার সভাপতি ডেভিড রুবিন জানিয়েছেন, অ্যাকাডেমির তরফে স্মিথের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনে যে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছিল তা বন্ধ হবে না।
পদত্যাগ পত্রে স্মিথ লেখেন, “৯৪তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে আমি যা করেছি তা বেদনাদায়ক, ক্ষমার অযোগ্য।” তিনি আরও যোগ করেন নিজের কৃতকর্মের কারণে, তাঁর হৃদয় ভেঙে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি অ্যাকাডেমির বিশ্বাস ভেঙেছি। তাই অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকাচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের সদস্যপদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। বোর্ডের তরফে আমার প্রতি নেওয়া যে কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করব।” একই সঙ্গে তিনি এও জানান, অ্যাকাডেমির তরফে তাঁকে যে নোটিস পাঠানো হয়েছে তা তিনি গ্রহণ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে কোনও সিদ্ধান্তই তিনি মেনে নেবেন বলেও অঙ্গীকার স্মিথের।
কী হয়েছিল সেদিন? অস্কার প্রদান অনুষ্ঠান চলছিল। সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন ক্রিস রক। উইল স্মিথ ছিলেন আমন্ত্রিতের তালিকায়। আচমকাই ক্রিস রক স্মিথের স্ত্রী জাডা পিঙ্কেট স্মিথকে নিয়ে মস্করা করতে শুরু করেন। স্মিথের স্ত্রী অ্যালোপেসিয়াতে আক্রান্ত। এই রোগের কারণে চুল পড়ে যায়। তিনি বলেন, জাডাকে GI Jane ছবির দ্বিতীয় পার্টে নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ওই ছবিতে মূখ্য ভূমিকায় ছিলেন ডেমি মুর। ছবিতে নায়িকা ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সৈনিক, তাঁর চুল ছিল ছোট করে কাটা। জাডার চুল নিয়ে পরোক্ষে কটাক্ষ করায় দর্শকাসনেই চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে তাঁর। মুহূর্তেই দেখা যায় মেজাজ হারিয়ে তড়িঘড়ি মঞ্চে উঠে পড়েন উইল স্মিথ।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে চড় কষিয়ে দেন ক্রিসের গালে। মঞ্চ থেকে নেমেও রাগ কমেনি তাঁর।। ক্রিসকে উদ্দেশ্যকে কিছু গালিগালাজও দিতে দেখা যায় তাঁকে। বলতে শোনা যায়, “আমার স্ত্রীর নাম উচ্চারণ থেকে বিরত থাক”। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে যান আশেপাশে শিল্পীরা। রাতারাতি ভাগ হয়ে যায় বিশ্ব। কেউ স্মিথের চড়কে সমর্থন করেন আবার কেউ শুরু করেন চরম নিন্দায়। স্মিথ পদত্যাগ করলেন, অ্যাকাডেমি কোন পথে হাঁটে এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- অজয়কে ছাড়তে হবে, হুমকি পেয়েছিলেন কাজল, পরকীয়া প্রসঙ্গে মুখ খুলে বিস্ফোরক অজয়