বিশ্ব জুড়ে আগামী ২৯ জুলাই পালিত হবে ‘বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস’। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল ভারতের জাতীয় পশু হওয়া সত্ত্বেও আজ এই প্রাণীটি বিলুপ্তির পথে। আর সেই কারণেই ব্যাঘ্র সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় ‘গ্লোবাল টাইগার ডে’। তবে এই দিনটির সূচনা হয়েছিল ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিসটবার্গে বিশ্ব ব্যাঘ্র সম্মেলনে। এরপর থেকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ‘বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস’কে কেন্দ্র করে নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।
‘স্টেটাস অফ টাইগারস, কোপ্রিডেটরস অ্যান্ড প্রে’-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০১৮ সালে ভারতে বাঘের সংখ্যা ২,৬০৩ থেকে ৩,৩৪৬-এর মধ্যে। ২০২২-এর ব্যাঘ্রসুমারি অনুযায়ী, ভারতে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৫০০-এ। কিন্তু এক শতাব্দী আগেও ভারতীয় উপমহাদেশে এই বাঘের সংখ্যাটাই প্রায় ৫০ হাজারের কাছে ছিল। তাই এবারে বাঘ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তথ্যচিত্র তৈরি করলেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী কোরক বসু।
তথ্যচিত্রের নাম ‘বাঘের দিন’। ভারতের এই জাতীয় পশুকে নিয়ে একাধিক লেখালিখি, তথ্যচিত্র এমনকী ডাকটিকিটও রয়েছে। সেই সব কিছুকে একত্রিত করে একটি সম্পূর্ণ তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন কোরক। তথ্যচিত্রটি লিখেছেন কবি তন্ময় চক্রবর্তী। তবে এই তথ্যচিত্রের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল বাঘের ছবি আঁকা ডাকটিকিট।
ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশেরও ডাকটিকিট ও ডাক সম্পর্কিত নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। এর পিছনে বিশেষ অবদান রয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটির সহায়ক গবেষক এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৃজন দে সরকারের। এই ডাকটিকিট ও ডাক সম্পর্কিত তথ্য সৃজনের সংগ্রহ করা। এখানেই শেষ নয়। এই তথ্যচিত্রের কভারে বর্ণনা করা হয়েছে জিম করবেট-সহ অন্যদের বাঘের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা।
‘বাঘের দিন’ উদ্দেশ্যে কোরক বসু বলেন, ‘‘আমি একজন বন্যপ্রাণী প্রেমিক, চিরকালই এই বিস্ময়কর প্রাণীটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। প্রকৃতির এমন সম্পদ রক্ষা করবার প্রয়োজনীয়তা সব সময়েই অগ্রাধিকারে থাকে। এই ধরণের তথ্যচিত্র মানুষের মধ্যে বাঘ এবং তার সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে উঠবে।’’ আগামী পরশু, ২৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় কোরক বসু ক্রিয়েশন্স-এর ফেসবুক পেজে স্ক্রিনিং হবে ‘বাঘের দিন’।