‘সানিই প্রথম ছুটে এসেছিল’, সৎ ছেলেকে নিয়ে কোন সত্যি সামনে আনেন হেমা?
পরিবারের প্রতি তাঁর আনুগত্য এবং অধিকারবোধ বারবারই খবরের শিরোনামে এসেছে। সেই পরিবারে ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে পা রেখেছিলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী।

বাবা ধর্মেন্দ্রকে অত্যন্ত ভালবাসেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওল। বাবার সঙ্গে তাঁর সখ্যতা বহুদিনের। অনুরাগীরাও ওয়াকিবহাল সে ব্যাপারে। এখনও পর্যন্ত পরিবার নিয়ে বাবার সঙ্গেই থাকেন সানি এবং তাঁর ভাই ববি। তাঁদের যৌথ পরিবার। পরিবার ছাড়া কিছুই জানেন না সানি। পরিবারের প্রতি তাঁর আনুগত্য এবং অধিকারবোধ বারবারই খবরের শিরোনামে এসেছে। সেই পরিবারে ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হয়ে পা রেখেছিলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী।
প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কর বর্তমান থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। মায়ের চোখের জল দেখে সেই বিয়ে কিছুতেই মানতে পারেননি সানি। এমনকী হেমাকে নাকি আক্রমণও করেছিলেন ছুরি দিয়ে।
ধর্মেন্দ্র-হেমার বিয়ের পর একদিন নাকি খুব ঝগড়া হয় হেমা-সানির। রাগের মাথায় হেমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে গিয়েছিলেন সানি বলে শোনা যায়। তাঁকে বাবার জীবনের ‘দ্বিতীয় নারী’ বলেও সম্বোধন করেছিলেন অভিনেতা। যদিও এ খবর প্রকাশে আসার পর প্রথমবারের জন্য মুখ খুলেছিলেন ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী এবং সানির মা প্রকাশ। হেমাকে আঘাত করতে চেয়েছে ছেলে, এই খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই সমীকরণ এখন অতীত।
সৎ ছেলের সাফল্যে খুশি হয়েছেন হেমা নিজে। ‘গদর ২’তে সানির সাফল্য দেখে তিনি প্রশংসা করেছিলেন সৎ ছেলের। বলেছিলেন, “আমরা এক পরিবার। রাখি বন্ধনে সানি এবং ববি আমার দুই কন্যা এশা এবং অহনার কাছে প্রত্যেক বছর রাখি পরে। অনেকেই ভাবেন আমার সঙ্গে সানি সম্পর্ক ভাল নয়। কিন্তু আমি বলব খুব সুন্দর আমাদের সম্পর্ক। আমরা একে- অপরকে খুব সম্মান করি। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সানি এবং ধরমজি আমাদের পাশে থাকেন। আমাদের কোনওরকম শরীর খারাপ হলে প্রথমেই ছুটে আসে সানি। কিছুদিন আগে আমি চোট পেয়েছিলাম। খবর পেয়ে সানিই প্রথম ছুটে এসেছিল আমার বাড়ি। সঙ্গে নিয়ে এসেছিল ডাক্তারকেও। সেই ডাক্তারই আমার মুখে সেলাই করেছেন। আমার খুব অবাক লেগেছিল সেদিন সানিকে দেখে। এটাই আমাদের সম্পর্কের রসায়ন।”





