হিরো আলমকে আদলতের সামনে বেধড়ক মার, গণধোলাই! হাসপাতালে কাতরাতে কাতরাতে কী বললেন বাংলাদেশি ইউটিউবার?
Hero Alom: আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশি ইউটিউবার হিরো আলম। রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা করতে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়েছিলেন আলম। আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পরেই ঘটে ধুন্ধুমার কাণ্ড।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলাদেশি ইউটিউবার হিরো আলম। রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা করতে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়েছিলেন আলম। আদালত থেকে বেরিয়ে আসার পরেই ঘটে ধুন্ধুমার কাণ্ড। আদালত প্রাঙ্গনে হামলা করা হয় তাঁর উপর। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে কান ধরে ওঠবসও করানো হয় তাঁকে। আদালত চত্বরে থাকা বহু সাধারণ মানুষের চোখের সামনেই ঘটেছে ঘটনাটি। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন পুলিশ। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনার জেরে শরীরে অনেকই আঘাত পেয়েছেন বাংলাদেশি ইউটিউবার তথা অভিনেতা।
বাংলাদেশ থেকে TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন তিনি। হিরো বলেন, “আমার অবস্থা খুব খারাপ। হাত-পা ফুলে গিয়েছে। খুবই ব্যথা। আমি কথা বলারও অবস্থায় নেই। হাসপাতালেই রয়েছি এখনও। আমাকেই যে কেন বার বার আক্রমণ করা হয় আমি জানি না। কিছু বুঝতে পারছি না।”
তাঁর উপর এই হামলার জন্য বিএনপি দলকে দায়ী করেছে হিরো আলম। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবারের দাবি যে তাঁর উপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বগুড়া আদালতের আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রনি সরকার। এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য রেখেছেন রনিও।
‘প্রথম আলো’-কে তিনি বলেন,”হিরো আলমের উপর হামলায় আমি, বগুড়া বারের আইনজীবী ও বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা নেতৃত্ব দিয়েছি।” তাঁদের দাবি, ইউটিউবার র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাই তাঁর উপর এই হামলা করা হয়েছে। যদিও আলম তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে বিন্দুমাত্র রাজি নন। তিনি জানিয়েছেন, এই সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।