উত্তম নন? সুপ্রিয়ার ‘দুর্বলতা’ ছিলেন এই দুই অভিনেতা, একজন তো পাল্টেছিলেন…
Supriya Devi: পুরনোদিনের কথা শুনতে কার না ভাল লাগে। বাংলা ছবির জগতে তেমনই অনেক মণিমানিক্য ছড়িয়ে আছে। ঘটনা এবং ঘটনা। সেই সব ঘটনা শুনলে অন্য এক জগৎ ভেসে ওঠে চোখের সামনে। তেমনই কিছু পুরনোদিনের ফেলে আসা সময়ের কথা প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী শেয়ার করেছিলেন...
কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুপ্রিয়া চৌধুরীর আসল নাম সুপ্রিয়া ছিল না। তাঁর পিতৃদত্ত নাম ছিল কৃষ্ণা। কীভাবে কৃষ্ণা থেকে সুপ্রিয়া হলেন অভিনেত্রী, সেটা ভারী সুন্দর এক কাহিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে সদ্য অভিনয় করতে এসেছেন সুপ্রিয়া। উত্তমকুমার অভিনীত ‘বসু পরিবার’ ছবিতে কাজ করছেন। তার আগে বর্মা (এখন মায়ানমার)-এ থাকাকালীন বাবা গোপাল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশনায় মাত্র সাত বছর বয়সে মঞ্চে অভিনয়ে হাতেখড়ি। সেই সময় কৃষ্ণা নামেই অভিনয় করেছিলেন সুপ্রিয়া। কলকাতায় আসার পর সিনেমায় সুযোগ ঘটে অভিনয়ের। কিন্তু বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ হলে নায়ক-নায়িকাদের বড় এবং আধুনিক নাম দেওয়ার প্রচলন ছিল সেই সময়। অরুণকুমার থেকে যেমন উত্তমকুমার হয়েছিলেন মহানায়ক, রমা থেকে সুচিত্রা হয়েছিলেন মহানায়িকা। ঠিক তেমনই কৃষ্ণা থেকে সুপ্রিয়া হয়েছিলেন সুচিত্রা।
এক সাক্ষাৎকারে সুপ্রিয়া বলেছিলেন, “আমার ডাক নাম বেণু। বলা হল, সেই নাম চলবে না। সুচিত্রা নামটাও চলবে না। কারণ, সেই সময় রমাদি চলে এসেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। এই করতে-করতে আমার আর নাম ঠিকই করা হচ্ছিল না। আমার আজও স্পষ্ট মনে আছে, এনটি ওয়ান স্টুডিয়োতে ঢোকার সময় হঠাৎ দেখি অভিনেতা পাহাড়ি সান্যাল আমাকে ‘সুপ্রিয়া-সুপ্রিয়া’ বলে ডাকছেন। আমি হতচকিত হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি বললেন, ‘তোকে ডাকছি না!’ আমি অবাক হয়ে বলি, ‘কে সুপ্রিয়া?’। তিনি বললেন, ‘ওটাই তোর নাম। আজ থেকে তুই সুপ্রিয়া’।”
এই খবরটিও পড়ুন
অভিনেতা পাহাড়ি সান্যাল বেণুর পর্দায় নামকরণ করেছিলেন সুপ্রিয়া। পাহাড়ি সান্যালের প্রতি সেই থেকে অন্যরকমের দুর্বলতা তৈরি হয় সুপ্রিয়াদেবীর। বলেছিলেন, “ওরকম মানুষ আমি খুব কম দেখেছি।” কেবল পাহাড়ি সান্যাল নন, ছবি বিশ্বাসের সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক ছিল সুপ্রিয়াদেবীর। বলেছিলেন, “তিনি অত্যন্ত বাবাসুলভ মানুষ ছিলেন আমার জীবনে। আমি তাঁকে ‘বন্ধু’ বলে ডাকতাম…”