ছেলের বিয়ে দিয়েই খরাজের কড়া নির্দেশ, “বউমাকে সব দিয়ে দাও”! কী বলছেন খরাজ-পুত্র?
স্ত্রীও রয়েছে একই সিংহাসনে বসে। প্রায় গোটা টলিউড হাজির। ক্যামেরার ঝলকানি। আত্মীয়পরিজনদের ফিসফাস, অট্টহাসি। একের পর এক নিমন্ত্রিত বর-বধূকে শুভেচ্ছা জানাতে মঞ্চে উঠছেন। হেসে আপ্যায়ণও করছেন অভিনেতা। নানা রসিকতাও চলছে টুকটাক। কিন্তু ওসবে আর যেন ভ্রুক্ষেপ করলেন না।

সবে তখন সন্ধে গড়িয়ে অল্প রাত। বৌভাতের ভেন্যু অতিথি সমাগমে জমজমাট। বর-বধূর সিংহাসনে ছেলে ও বউমার মাঝখানে বসে রয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়। স্ত্রীও রয়েছে একই সিংহাসনে বসে। প্রায় গোটা টলিউড হাজির। ক্যামেরার ঝলকানি। আত্মীয়পরিজনদের ফিসফাস, অট্টহাসি। একের পর এক নিমন্ত্রিত বর-বধূকে শুভেচ্ছা জানাতে মঞ্চে উঠছেন। হেসে আপ্যায়ণও করছেন অভিনেতা। নানা রসিকতাও চলছে টুকটাক। কিন্তু ওসবে আর যেন ভ্রুক্ষেপ করলেন না! একদম হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন! ছেলেকে দিলেন কড়া নির্দেশ। স্পষ্ট বললেন, যদি ভাল চাও তো বউমাকে সব দিয়ে দাও… শুক্রবার খরাজ মুখোপাধ্যায়ের ছেলে বিহুর রিসেপশন পার্টিতে নাটকীয় মোচড়। ছেলেকে সুখের সংসার, বিয়ে পরবর্তী জীবনের টিপস দিতে গিয়ে খরাজ একদম বেলাগাম। স্ত্রী ও পুত্রবধূকে পাশে রেখেই বলে ফেললেন,বউ নাকি জীবনের আসল গুরু। আর সেই গুরুর কৃপা পেতেই যে কাজগুলো করতে হবে, তার তালিকা ছেলের হাতে আগেভাগেই ধরিয়ে দিয়েছেন খরাজ।
কাণ্ডটা ঠিক কী ঘটল?
অঙ্কনা দাশ ওরফে রোজার সঙ্গে বহুদিনের আলাপ খরাজপুত্র বিহুর। তবে প্রেম চললেও, এই রোজাকেই যে বিয়ে করতে হবে, তা কনফার্ম করেন খরাজপত্নী। ছেলেকে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন খরাজপত্নী। এ ব্যাপারে স্ত্রীকে খোলা ছাড়ও দিয়েছিলেন অভিনেতা। ছেলেও মেনেছেন মায়ের কথা। তবে বিয়ের পর যে এভাবে দুটি দল তৈরি হবে, তা আগে থেকে ভাবতেই পারেননি খরাজ ও তাঁর পুত্র বিহু। এক দলে খরাজ ও বিহু, আরেক দলে খরাজের স্ত্রী ও তাঁর পুত্রবধূ।
কী তালিকা ছেলের হাতে দিয়েছেন খরাজ?
ছেলে বিহু বলেন, ”মা আর রোজা হল জুটি। আর এই জুটিরই শক্তি বেশি। আমি আর বাবাই প্রতিদিন এদের সামনে হাত পেতে হাত খরচা চাই। যা দেয়, তেমন ভাবেই চলি। বাবা প্রথম দিন থেকে এই টিপস-ই দিয়েছেন। স্পষ্ট বলেছে, সব মা ও বউকে দিয়ে দাও এবং হাত খরচা চাও। তাহলেই সব ঠিক থাকবে, ঠিক রাখবে এবং সব কিছু মসৃণ হয়ে যাবে। আসলে আমাদের পরিবার একেবারে মাতৃতান্ত্রিকতায় বিশ্বাস করে। পিতৃতান্ত্রিক নয়। আমাদের বাড়ির হেড বাবা নন, মা। আর এবার সেই ব্যাটনই পাস হচ্ছে বউয়ের হাতে।”
ছেলের কথা শেষ না হতেই ফস করে খরাজ করে বলে উঠলেন, ”আসলে এবার থেকে শুরু হল আপোস। আপোসটা করে যেতে হবে। একটা জিনিসই মাথার রেখে চলতে হবে যে, বউ আপনার গুরু। সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে… এতটা সবাই শুনেছেন, পরের লাইনটা জানেন?” কৌতুক অভিনেতার মতই মজার অভিব্যক্তিতে বলে ফেললেন খরাজ…”বেশি পাকামো করলে, দেবো ধুনে!” অন্যদিকে, ছেলেও যে বাবার পথেই হাঁটবেন, তা স্পষ্ট করলেন বৌভাতের রাতেই।
