ঝাঁ চকচকে ড্রইংরুম। সেখানে যদি আচমকাই চিতাবাঘ চলে আসে তাহলে কী করবেন? ভাবছেন এরকমটাও কি সম্ভব! এমনটা তো হতেই পারে না। কিন্তু আসলে এমনটাই হয়েছে। চিতার ভয়ে প্রায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা শ্যামলী আর অনিকেতের। বাস্তবে অবশ্যই এমনটা ঘটেনি। এটা আসলে ছোট পর্দার গল্পের কথা বলা হচ্ছে। সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ সিরিয়ালের প্রোমো। যেখান দেখা যাচ্ছে মায়ের সেবায় ব্যস্ত অনিকেতের পরিবার।
অন্য দিকে তাঁদের ড্রইং রুমে চিতাবাঘের হানা। গর্জন করতে করতে এগিয়ে আসছে সেই চিতা বাঘ। অন্য দিকে সেই গর্জন শুনে এগিয়ে এসেছে গোটা পরিবার। ভয়ে তটস্থ শ্যামলী এবং অনিকেত। এই প্রোমো প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হাসাহাসি। একের পর এক মন্তব্যে ভরে গিয়েছে মন্তব্যবাক্স। কেউ লিখেছেন, “এই সব দেখার আগে আমার চোখে ছানি পড়ল না কেন?” আবার কারও মন্তব্য, “বাঘটা বেরিয়ে কোথায় গেল কেউ জানলে আমায় জানাবেন। যদি আমার বাড়ির দিকে চলে আসে।” আবার কারও মন্তব্য, “একটাই শিক্ষা পেলাম বাঘের হাত থেকে বাঁচার জন্য শাঁখ বাজানো উচিত।” আবার একজন লেখেন, “কী খেয়ে চিত্রনাট্য় লেখেন!”
সমাজমাধ্য়মের পাতা ভরে গিয়েছে সিরিয়ালের এই প্রোমোর সমালোচনায়। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে। এই সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে তাঁকে দেখছেন দর্শক। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। পুরো সিদ্ধান্তই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের। আমায় যেটুকু কাজ করতে বলা হয়েছে আমি সেটা করেছি। সত্যিই এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।” উল্লেখ্য, শোনা যাচ্ছে, রণজয় নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী শ্যামৌপ্তি মুদলির সঙ্গে। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি দুজনের কেউই।