কুমার শানু এবার আদালতের দ্বারস্থ, রাত পোহালেই শুনানি
শানুর কনসার্ট, ছবি বা ব্যক্তিগত পছন্দকে ঘিরে যেকোনও রকম অ-অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যবহারকেও যেন বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়, সেই বিষয়ও আবেদনে রাখা হয়েছে। এই মামলার রায় ভবিষ্যতে অন্যান্য শিল্পীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বত্বাধিকার আইনের অধীনে এবার নিজের ব্যক্তিত্ব ও কণ্ঠস্বর রক্ষার দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী কুমার শানু। সোমবার বিচারপতি মনপ্রিত প্রিতম সিং অরোরার এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলা থেকে উঠে আসা এই স্টার হিন্দি সঙ্গীত জগতে এক যুগের নাম। একাধিক জনপ্রিয় গান তাঁর ঝুলিতে। শানু (আসল নাম কুমার শানু ভট্টাচার্য) আদালতে আবেদন জানিয়েছেন, যেন তাঁর নাম, কণ্ঠস্বর, গায়কী ধরন, স্বাক্ষর ও ব্যক্তিগত শৈলীর অবৈধ ব্যবহারে যেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তাঁর দাবি, এই সমস্তই তাঁর ‘ব্যক্তিত্ব অধিকার’ ও ‘প্রচার অধিকার’-এর অন্তর্ভুক্ত, যা আইনের মাধ্যমে সংরক্ষিত হওয়া উচিত। এখানেই শেষ নয় AI ব্যবহার করে তৈরি হওয়া ছবি ভিডিয়ো ঘিরেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আবেদনপত্রে শানুর আইনজীবীরা (শিখা সচদেব ও সানা রইস খান) উল্লেখ করেছেন, শিল্পীর গানের ধরণ, স্বর-তাল-মাধুর্য এবং নিজস্ব গায়কী শৈলী সত্যিই অনন্য। কোনও তৃতীয় পক্ষ যদি অনুমতি ছাড়াই বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এইসব ব্যবহার করে, তা হলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারেন এবং প্রকৃত শিল্পীর স্বকীয়তা হারিয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও, শানুর কনসার্ট, ছবি বা ব্যক্তিগত পছন্দকে ঘিরে যেকোনও রকম অ-অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যবহারকেও যেন বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়, সেই বিষয়ও আবেদনে রাখা হয়েছে। এই মামলার রায় ভবিষ্যতে অন্যান্য শিল্পীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
