অডিশনের ভুয়ো ফাঁদ, ‘মিঠিঝোরা’র রাইয়ের ঝাড়গ্রাম থেকে শহরে আসার জার্নি যেন ছবির চিত্রনাট্য

অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি এই মুহূর্তে রাই নামেই পরিচিত স্টুডিয়োপাড়ায়। ঝাড়গ্রামের মেয়ে তিনি। ছোট থেকেই তাঁর অভিনয়ের প্রতি টান। একটা সময় ঝাড়গ্রাম থেকে নিয়মিত আসতেন কলকাতায় অডিশন দেওয়ার জন্য। প্রথম সুযোগ পাওয়ার আগে বেশ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আসতে হয়েছে।

অডিশনের ভুয়ো ফাঁদ, 'মিঠিঝোরা'র রাইয়ের ঝাড়গ্রাম থেকে শহরে আসার জার্নি যেন ছবির চিত্রনাট্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2025 | 8:00 PM

অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি এই মুহূর্তে রাই নামেই পরিচিত স্টুডিয়োপাড়ায়। ঝাড়গ্রামের মেয়ে তিনি। ছোট থেকেই তাঁর অভিনয়ের প্রতি টান। একটা সময় ঝাড়গ্রাম থেকে নিয়মিত আসতেন কলকাতায় অডিশন দেওয়ার জন্য। প্রথম সুযোগ পাওয়ার আগে বেশ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে আসতে হয়েছে। খুব যে স্বচ্ছল পরিবারে তাঁর বেড়ে ওঠা এমনটা একেবারেই নয়। ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায় আসার পথটা তাই একেবারেই মসৃণ ছিল না অভিনেত্রীর। সে কথাই স্পষ্ট জানালেন অভিনেত্রী।

বর্তমানে ‘মিঠিঝোরা’ সিরিয়ালে তাঁকে প্রতিদিন দেখেন দর্শক। প্রথম সিরিয়ালে অভিনয়ের পর থেকে মাঝে একটাও বিরতি নেননি তিনি। একের পর এক সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্‍কারে নিজের সেই পুরনো দিনে ফিরে গেলেন অভিনেত্রী। কিছু দিন আগে কলকাতায় বাড়ি কিনেছেন। সেই সঙ্গে গাড়িও। সবটাই অনেক বেশি প্রাপ্তি বলে মনে হয় তাঁর।

পুরনো কথা বলতে গিয়ে আরাত্রিকা বলেন, “যদি কেউ ভাবেন আমি খুব বড়লোক পরিবারের মেয়ে তাহলে একেবারেই ভুল ভাববেন। খুব স্বচ্ছল পরিবার ছিল আমার এমনটা নয়। ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায় এসে পায়ে হেঁটে স্টুডিয়োয় ছবি দিয়ে যেতাম। ২০টাকা ভাড়া দিতে হবে বলে অটো নিতাম না।” এমনকি প্রচুর ভুয়ো ফাঁদে পড়েছিলেন নায়িকা। অভিনেত্রী বলেন, “এমন কতবার হয়েছে যে টাকা চেয়েছে কাজ দেবে বলে। বারুইপুর থেকে কোন গলির ভিতরে নিয়ে চলে গিয়েছে। তার পর বুঝেছি ভুল জায়গা। আমায় হয়তো কাজ পেতে অডিশন দিতে হয়নি। কিন্তু সঠিক জায়গায় পৌঁছতেই পাঁচ বছর সময় লেগে গিয়েছিল।” যদিও এই সবটাই তাঁর কাছে এখনও স্বপ্নের মতো। তাই তো তিনি জীবনে যা পেয়েছেন সবটা ভগবানের আশীর্বাদ বলেই মনে করেন তিনি।