AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গোপনে শেফালির ভিডিয়ো রেকর্ড, এ কী করে বসেন অক্ষয়ের ছেলে?

এই দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর প্রস্তাব নিয়ে আসেন। পরিচালক রিচি মেহতা-র সঙ্গে দেখা করেই রাজি হয়ে যান শেফালি। এই সিরিজই তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ২০২০ সালে ‘দিল্লি ক্রাইম’ আন্তর্জাতিক এমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা ড্রামা সিরিজ হিসেবে পুরস্কৃত হয়।

গোপনে শেফালির ভিডিয়ো রেকর্ড, এ কী করে বসেন অক্ষয়ের ছেলে?
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2025 | 3:02 PM
Share

বলিউডে টিকে থাকা সহজ কথা নয়। সে যে কোনও স্তরের শিল্পী হোক না কেন, একটা না একটা সময় কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তেই হয়। একইভাবে অভিনেত্রী শেফালি শাহ-র কেরিয়ারও সহজ ছিল না। ‘মনসুন ওয়েডিং’ ও ‘ওয়াক্ত’-এর মতো ছবিতে প্রশংসিত অভিনয় করেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি যোগ্য সুযোগ পাননি বলে দাবি করেন। কিন্তু ওয়েব সিরিজ ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর হাত ধরে তাঁর কেরিয়ারে আসে বড় চমক। সম্প্রতি টুইঙ্কল খান্নার ইউটিউব চ্যানেল Tweak India-তে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে নেন শেফালি।

টুইঙ্কল জানান, শেফালি তাঁর বহু পুরনো বন্ধু। একদিন তাঁর বাগানে বসে শেফালি কাঁদছিলেন, কারণ তিনি তখন ভাল কাজ পাচ্ছিলেন না। মজার ছলে টুইঙ্কল বলেন, “আমার ছেলেই তখন পাশের ঝোপে লুকিয়ে ভিডিয়ো করছিল। কারও সেক্স টেপ থাকে, ওর আছে কান্নার টেপ!” উত্তরে শেফালি হেসে বলেন, “তাও যদি এখন ছেড়ে দিই, জনপ্রিয় হব!”

কেরিয়ারের শুরুর দিকে বারবার তাঁকে বয়সের তুলনায় অনেক বড় চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছে। যেমন, ‘ওয়াক্ত’ ছবিতে তিনি অক্ষয় কুমারের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি বাস্তবে তাঁর থেকে বয়সে বড়। এমনকি ‘দিল ধড়কনে দো’-তেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল মায়ের ভূমিকায়। এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, আর এই ধরনের ভূমিকা করবেন না। তিনি বলেন, “নীরজা ও কপূর অ্যান্ড সন্স-এর মতো ছবির স্ক্রিপ্ট ভাল হলেও ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। জানতাম, এগুলো করলে কেরিয়ার সেখানেই থেমে যাবে।”

এই দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর প্রস্তাব নিয়ে আসেন। পরিচালক রিচি মেহতা-র সঙ্গে দেখা করেই রাজি হয়ে যান শেফালি। এই সিরিজই তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ২০২০ সালে ‘দিল্লি ক্রাইম’ আন্তর্জাতিক এমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা ড্রামা সিরিজ হিসেবে পুরস্কৃত হয়। যদিও এখন বহু চরিত্রের প্রস্তাবই তাঁর ঝুলিতে। ওয়েব সিরিজ অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাছে এক নতুন সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে কাজের সুযোগ বেশ বেড়েছে।