Samantha Akkineni: হতাশায় ভুগছেন সামান্থা? বিচ্ছেদের জল্পনার জন্যই এই পরিস্থিতি?
Samantha Akkineni: সামান্থা সদ্য এই সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রকাশ্যে সাংবাদিকের উপর চটে যান। আলাদা ভাবে গোটা ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন নাগা চৈতন্যও।
সামান্থা আক্কিনেনি এবং নাগা চৈতন্য। এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের জল্পনা গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে। সরাসরি বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে কেউই মুখ খোলেননি। তবে বিভিন্ন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট শেয়ার করছেন। ঠিক যেমন হতাশা প্রসঙ্গে পোস্ট করলেন সামান্থা।
সামান্থা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘যখন হতাশা আমাকে ঘিরে ধরে তখন সব মসয় মনে রাখি সত্য এবং ভালবাসার পথ সব সময় জয়ী হবে। অদৃশ্য হয়ে অনেক অত্যাচারী বা খুনী হয়তো থাকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকলেই পরাজিত হবে। এটা সব সময় ভাববে।’ হ্যাশট্যাগে তিনি ব্যবহার করেছে ‘মাই মম্মা সেড’-এর মতো তিনটি শব্দ। এই পোস্ট শেয়ার করার পরই অনুরাগীদের একাংশের মনে হচ্ছে, তা হলে কি নিজেই হতাশায় ভুগছেন অভিনেত্রী? দীর্ঘদিন ধরে চলা দাম্পত্য বিচ্ছেদের জল্পনাতেই কি তাঁর এই পরিণতি?
সামান্থা সদ্য এই সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রকাশ্যে সাংবাদিকের উপর চটে যান। আলাদা ভাবে গোটা ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন নাগা চৈতন্যও। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে নাগা চৈতন্য বলেন, “আমার কেরিয়ারে প্রথম থেকেই ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জগৎ আলাদা রেখেছি। আমি দুটো কখনও এক করে ফেলিনি। এটা আমি বাবা, মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। এটা শিখেই বড় হয়েছি। আমি ছোট থেকে দেখেছি বাড়ি ফিরে বাবা, মা কখনও কাজ নিয়ে কথা বলতেন না। আবার যখন কাজে যেতেন, তখন সেখানে বাড়ির কথা আলোচনা করতেন না। খুব সুন্দর ব্যালান্স করে চলতেন।”
কিন্তু নাগা চৈতন্যর ব্যক্তিগত জীবনই এখন আলোচনার শিরোনামে। যা নাকি তাঁর কাছে কষ্টদায়ক। “আমি প্রথম দিকে কষ্ট পাচ্ছিলাম। মনে হত এটা হেডলাইনে কেন? তবে বুঝলাম খবর মানে আজ একটা তো আগামিকাল অন্য একটা। মিনিটে মিনিটে খবর বদলে যায়। দর্শকের মাথায় কোনও খবরই স্থায়ী ভাবে থাকে না। যখন এটা বুঝলাম, তখন বিষয়টা আর আমাকে প্রভাবিত করছে না” বলেন অভিনেতা।
নাগা চৈতন্য অভিনেতা নাগার্জুন আকিনেনির পুত্র। বৈবাহিক সূত্রে এক সময় আকিনেনি পদবী ব্যবহার করতেন সামান্থা। কিন্তু কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে সেই পদবী বাদ দিয়েছেন তিনি। তারপর থেকে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জল্পনা আরও দৃঢ় হয় বিভিন্ন মহলে। প্রকাশ্যে এই প্রশ্ন করা হলে হ্যাঁ বা না, কোনও উত্তরই দেননি অভিনেত্রী।
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা মন্দিরে পুজো দিতে যান সামান্থা। সেখানে এক সাংবাদিক এই বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করলে দৃশ্যতই রেগে যান সামান্থা। তেমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রেগে গিয়ে ওই সাংবাদিককে সামান্থা বলেন, ‘আমি একটা মন্দিরে এসেছি। আপনার কোনও বোধ নেই?’ দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’র সাফল্যের পর বলিউডেরও অফার পেতে শুরু করেছেন এই দক্ষিণী অভিনেত্রী। দক্ষিণী ছবি ছাড়াও বলিউডেও যে তাঁর পাকাপাকি ভাবে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন সামান্থা। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সম্পর্ক কোন দিকে বাঁক নেয় এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন, Tanushree Bhattacharya: তনুশ্রীর আদরের ‘পুটু’র জন্মদিন, কী ভাবে সেলিব্রেট করলেন অভিনেত্রী?