‘কলকাতা পাতি, ডাউনমার্কেট, পচে গিয়েছে…’, হঠাত্ এ কী বললেন গায়িকা পরমা?
এক সময়ে এই শহরকে ভালোবেসে থেকে গিয়েছেন। কিন্তু এখন কলকাতা শহরের দিকে তাকিয়ে গায়িকা পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হচ্ছে, শহর ছেড়ে পালাতে পারলে বাঁচেন। এই শহর নাকি পাতি, পচে গিয়েছে।

এক সময়ে এই শহরকে ভালোবেসে থেকে গিয়েছেন। কিন্তু এখন কলকাতা শহরের দিকে তাকিয়ে গায়িকা পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হচ্ছে, শহর ছেড়ে পালাতে পারলে বাঁচেন। এই শহর নাকি পাতি, পচে গিয়েছে। গায়িকা ফেসবুকে একটা পোস্টে লিখেছেন, ”কলকাতা যে কোনওদিন এরকম পাতি, ডাউনমার্কেট হয়ে যাবে , বিশ্বাস করুন , ছোটবেলায় আন্দাজ করতে পারিনি। তা হলে সেই কোন বাচ্চা বেলায় বিদেশে পাড়ি দিতাম ! সুযোগ ছিল বিস্তর ! আজকাল দেখি রাত আটটার পর গড়িয়াহাট এর অর্ধেক দোকানের আলো নিভে গেছে । বালিগঞ্জ ফ্লাইওভার থেকে ঢাকুরিয়ার মোড় পর্যন্ত বাড়িগুলোর মাথায় ২৪/৭ ইয়া বড় বড় সাইনবোর্ড ঝলমল করত, সারা রাত। পানের দোকানগুলো তো রাত বারোটা , একটা অবধি খোলা থাকতো , চায়ের দোকান অন্তত ১১টা পর্যন্ত ! গড়িয়াহাটে জামাকাপড়ের দোকান সাড়ে ন’টা, দশটা। এখন শুধু অন্ধকার দেখা যায়। ট্র্যাফিক এর কিছু মামু মোড় এ দাঁড়িয়ে থাকেন বড় মাছ জালে পড়বে এই আশায়। মাসের শেষে এবং উইকএন্ডে এরা অতি সক্রিয় থাকেন । এছাড়া রাত আটটা-ন’টার পর গড়িয়াহাট, গোলপার্ক ফাঁকা হয়ে যায়, অন্ধকার হয়ে যায়। খালি সাইনবোর্ড গুলো বাড়ির ছাদ এ দাঁত বের করে কঙ্কাল এর মত হাসে। অথচ ক বছর আগেও এদের রাত কে দিন করা আলোর ঝলকানিতে আমাদের বেডরুম এ তিন লেয়ার এ পর্দা দিতে হতো! শুধু মাত্র কলকাতা কে ভালবেসে এই দেশে এই শহরে থেকে গেলাম ! আজকের এর পাতি পচে যাওয়া কলকাতা টাকে দেখতে হবে বলে !! প্রত্যেক দিন মনে হয় ,জানেন , পাততাড়ি গুটিয়ে অন্য কোনও রাজ্যে রি-লোকেট করি। এখানে আর থাকা যাচ্ছে না । ছেড়ে কলকেতা বন হব পগার পার…”
গায়িকার এমন মন্তব্যের জন্য অনেকে ক্ষিপ্ত। কড়া সমালোচনা করছেন।





