একঢাল চুল। বড় বড় চোখ। চাপা ত্বকের রং। আর তুখোড় অভিনয়। এই দিয়েই বলিউডে আলাদা ঘরানা তৈরি করেছিলেন স্মিতা পাটিল (Smita Patil)। কিন্তু তাঁর সৌন্দর্য হোক বা অভিনয় দক্ষতা কোনওটাই খুব বেশিদিন পর্দায় দেখার সুযোগ পাননি দর্শক। মাত্র ৩১ বছর বয়সে শেষ হয়ে গিয়েছিল স্মিতার অধ্যায়। ১৯৮৭-এর ১৩ ডিসেম্বর প্রয়াত হয়েছিলেন স্মিতা।
প্রয়াণের ৩৪ বছর পরও স্মিতা দর্শক মনে সমান উজ্জ্বল। তাঁর কাজের মাধ্যমে তিনি আজও রয়েছেন দর্শকের অন্তরে। আর রয়েছেন তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাধ্যমে। অর্থাৎ স্মিতা এবং রাজ বব্বরের ছেলে প্রতীক বব্বর (Prateik Babbar)। প্রতীকও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই পেশা শুরু করেছেন। মায়ের মৃত্যুদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন প্রতীক।
স্মিতার একটি ছবি শেয়ার করে প্রতীক লিখেছেন, ‘৩৪ বছর আগে আজকের দিনে মা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এতগুলো বছর ধরে আমি মায়ের একটা স্পষ্ট ছবি তৈরি করতে চেয়েছি নিজের মতো করে। মাকে কল্পনা করেছি আমার হৃদয় দিয়ে। অবশেষে একটা মূল্যবান জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি। এখন মা আমার কাছে পারফেক্ট। একজন সম্পূর্ণ নারী। পারফেক্ট রোল মডেল। যে কোনও ছোট্ট ছেলের চোখের মণি তার মা। সেই মাকে প্রত্যেক ছেলেই আদর্শ ভাবে এবং তার বড় হয়ে তার মতো হতে চায়। সেই অনুভূতিটা কখনও আমাদের ছেড়ে যায় না। আজীবন আমাদের সঙ্গে থাকে। প্রত্যেক বছর আমার সঙ্গেই মায়ের বয়স বাড়ে। এখন মায়ের বয়স ৬৫। এখনও মা আমার ভিতরেই রয়েছে। আমার সুন্দরী মা…।’
আরও পড়ুন, মুক্তির অপেক্ষায় সৌমিত্রর প্রথম এবং শেষ ওয়েব সিরিজ ‘নেক্সট’
স্বল্প কেরিয়ারেও প্রায় ৮০টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন স্মিতা। দুবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। ১৯৮৫-তে তাঁর মুকুটে যোগ হয়েছিল পদ্মশ্রীর সম্মান। প্রতীক যেমন তাঁর মাকে ভুলতে পারেননি। তেমনই সিনেপ্রেমী দর্শকও মনে রেখেছেন স্মিতাকে।
আরও পড়ুন, সুস্মিতার মেয়ে রেনের প্রিয় বন্ধুর ছবি প্রকাশ্যে, কে তিনি ?